খেলার খবর: দিন যেন মুশফিকুর রহিমেরই। তা না হলে এক ইনিংস খেলে এতো রেকর্ডের মালিকই কেন বনে যাবেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। দলের বিপদের সময় বাইশগজে গিয়ে মুশফিক হয়ে যান নির্ভরতার প্রতীক।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষের বোলারদের উপরে ছড়ি ঘোড়ান। সেই মুশি সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে ছিলেন উজ্জ্বল। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি।
অন্যদিকে, ইতিহাসের প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারদের মতো কিংবদন্তিদের।
শুধু মুশফিক নয় ঢাকা টেস্টে আলো ছড়িয়েছেন আরেক ডিপেন্ডেবল মুমিনুল। তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক শতক।
ঢাকা টেস্টে টাইগারদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। খেলার শুরুর পর এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই তিন উইকেট নেই বাংলাদেশের। মাত্র ২৬ রানেই ৩ উইকেটের পতন! কিলারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হন জিম্বাবুইয়ান পেসার কাইল জারভিস। ৩ উইকেটের মধ্যে তারই ছিল দুটি (ইমরুল ০, লিটন ৯)। ডানহাতি এই পেসারের শেষ সেশনেও তুলে নেন একটি উইকেট (তাইজুল ইসলাম ৪)।
কিন্তু মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হক তারই নাকের ডগার ওপরে দৃঢ় ব্যাটে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৪র্থ উইকেটে গড়েন দেশের সর্বোচ্চ ২৬৬ রানের জুটি। যা মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামেরও এ যাবতকালের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরির পর মুমিনুল ১৬১ রানে বিদায় নিলেনও পুরোপুরি টেস্ট মেজাজে ছিলেন মুশি। দ্বিতীয় দিন ৩০৩/৫ নিয়ে আবার শুরু করেন মুশফিক ও রিয়াদ। তবে রিয়াদ খুব বেশি সময় ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত মুশফিক এবং মেহেদির ব্যাটিং দৃঢ়তাই ৫২২/৭ থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
ইনিংস ঘোষণার পরই ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার মাসাকাদজা ও সারি। দেখে শুনে শুরু করলেও ব্যক্তিগত ১৪ রানে তাইজুলের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচে সাঝঘরে ফিরেন মাসাকাদজা।
তবে ১৮ ওভার খেলে দিনশেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান। ১০ রানে অপরাজিত আছেন সারি।