বিদেশের খবর: স্কুল যাওয়ার পথে মন্দির পড়ায় পিরিয়ডের সময় ক্লাসে যেতে পারেনা ছাত্রীরা। মন্দিরের ‘পবিত্রতা’ রক্ষায় বহুবছর ধরে ভারতের উত্তরখণ্ডে চলছে এ নিয়ম। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
জানা যায়, উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড়ের রউতগারা গ্রামের ওই স্কুলে যাওয়ার পথে পড়ে প্রাচীন এক মন্দির। স্থানীয়রা মনে করেন, পিরিয়ড চলা অবস্থায় সেই পথ দিয়ে মেয়েরা স্কুলে গেলে গোটা এলাকা অপবিত্র হয়ে যাবে। এই বিশ্বাসে বছরের পর বছর পিরিয়ড চলাকালীন ৫ দিন মেয়েদের স্কুলে পাঠান না বাবা-মা।
দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ম চলে আসছে সেখানে । এমন আজব নিয়মে পড়াশোনায় ঘাটতি হয়ে যাওয়ায় অনেক মেয়েই কাছের কোনও এলাকায় বা শহরে থেকে সেখানকার স্কুলে পড়তে বাধ্য হচ্ছে।
সম্প্রতি ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি জনসমক্ষে আনেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উত্তরাখণ্ড মহিলা মঞ্চ। সংস্থার প্রতিনিধি উমা ভাট জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় চামু দেবতার মন্দির পড়ে স্কুলের পথে। শিক্ষকরা বোঝালেও বাবা-মায়েরা সমাজপতিদের হুমকির ভয়ে পিরিয়ড চলাকালীন মেয়েদের স্কুলে পাঠান না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের সাবেক এক শিক্ষক বলেন, ‘এখানে মানুষ খুবই রক্ষণশীল। আমরা বহুবার বাবা-মায়েদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। বুঝিয়েছি ছাত্রীদের সবসময় স্কুলে পাঠাতে। তবে তারা প্রাচীন প্রথা থেকে সরে আসতে চান না।’