দেশের খবর: যুক্তরাজ্যে ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড প্রতারণার দায়ে চলা শুনানির সময়েই পলাতক আসামী এখন বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হওয়ার লড়াইতে সামিল।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ভিক্টোরিয়া ডকসের আবুল কালাম মুহাম্মদ রেজাউল করিম একটি প্রতারক দলের হয়ে ভুয়া ভিসা ও ট্যাক্স কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জামিন ছাড়াই পালিয়ে গেছেন।
সাধারণভাবে একেএম রেজাউল করিম নামে পরিচিত আবুল করিমকে অনুপস্থিত থাকায় সাড়ে দশ বছরের সাজা দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে ৩৫ সপ্তাহের শুনানি শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই রায় দেন আদালত। বর্তমানে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি। আগামী মাসের নির্বাচনের জন্য তার একটি প্রচারণার ফেসবুক পেজও আছে। তাকে নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি ও লিফলেটও ছাপানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তার প্রতারক দল ৭৯টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি করেছে এবং মিথ্যা পে-স্লিপও বানিয়েছে যেগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের ৯০০ ভুয়া ভিসা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
তারা শত শত মিথ্যা কর প্রদানের স্লিপ জমা দিয়েছে। রেজাউল করিমের বোনের ভাই এনামুল করিম (৩৪) এবং কাজি বরকত উল্লাহ (৩৯), জলপা ত্রিবেদি (৪১) এবং সাবেক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিনও (৪৭) এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
তবে বাকিরা তাদের পাসপোর্ট জমা দিয়ে দিলেও, রেজাউল করিম, এনামুল করিম এবং বরকত উল্লাহ কাগজপত্র দিয়ে জুলাইতে যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে যান।
এইচএমআরসির (এইচএম রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টম) সিনিয়র তদন্তকর্মকর্তা আলিসন চিপারটন বলেন, রেজাউল করিম এই দলের প্রধান ছিলো। এখন দুর্নীতি বিরোধিতার কথা বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি পথ তৈরি করছে সে। কেলেঙ্কারির সময়ে এই দলটি খণ্ডকালীন ভিসার প্রদানের কথা বলে ভোক্তাদের কাছ থেকে অন্তত ৭০০ পাউন্ড করে আদায় করত।
২০১১ সালে সন্দেহজনকভাবে সাধারণ এবং উদ্যোক্তা ভিসা দেখার পরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয় । রায়ে পাঁচজনই দোষী সাব্যস্ত হয়। জনগণের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য জলপা ত্রিবেদি দোষী হন।
এনামুল করিমকে নয় বছর চারমাসের কারাদণ্ড দেয় যুক্তরাজ্যের আদালত, বরকত উল্লাহর হয় ১০ মাসের কারাদণ্ড, জলপা ত্রিবেদি তিন বছরের এবং তমিজ উদ্দিন আড়াই বছরের কারাদণ্ডের সাজা পান।