কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিবাহ রেজিষ্ট্রার, পুরোহিত ব্যতীত যারা বিবাহ পড়ান তাদের একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে ঈমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান। এসময় তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। যে কোন মূল্যে আমাদের এই অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব প্রথম এই উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরও আমরা বাল্যবিয়ে শতভাগ নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছিনা। সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বাল্যবিয়ের বিষয় নিয়ে “ইনোভিশন ইউনিট” নামের একটা আলাদা বিভাগ গঠণ করেছে। বাল্যবিয়ের কারণ সমুহে অনেক সমস্যা আমাদের সামনে উঠে এসেছে। এই সমস্যা একমাত্র ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার ও পুরোহিতরাই পারে নিয়ন্ত্রণ করতে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ সামাজিক ভাবে ছেলে ও মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্ত ১৮ বছরের কম মেয়ে ও ২১ বছরের নিচে ছেলেদের কোন অবস্থাতেই বিয়ে দেওয়া যাবেনা। ম্যারেজ রেজিষ্ট্র্রার ছাড়া বিয়ে পড়লে ৩০ দিনের মধ্যে রেজিষ্ট্রি করতে হবে। সমাজে ঈমামদের সকল শ্রেণির মানুষ ভালবাসে বিয়ে পড়ানো ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়েদের বয়স সঠিক ভাবে যাঁচাই করে নিতে হবে। যদি কেই গোপনে বিয়ে পড়ায় সে ক্ষেত্রে ১ বছরের মধ্যে আইনের আওতায় আসবে। ধরা খেলে কোন সুপারিশ কাজে আসবেনা ১ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত জেল খাটতে হবে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, তারালী ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার মাওঃ মহিবুল্লাহ প্রমুখ।
পূর্ববর্তী পোস্ট