মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি: আশাশুনিতে মাদ্রাসার সেফটি ট্যাঙ্কির মধ্য থেকে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেফটি ট্যাঙ্কির মধ্য থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। নিহত চালকের নাম জাহাঙ্গীর হোসন (১৯)। সে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের আব্দুল্লাহ কারিকরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০), বশির সানার ছেলে আব্দুল আজিজ সানা (৫০), সালামুদ্দিন (খোকন) কারিকরের ছেলে আল আমিন কারিকর(৩০) ও দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বাদল গাজীর ছেলে শফিফুল ইসলাম (৪০)। থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন গত বুধবার তার ছোট ভাই নিখোঁজের একটি ডায়রী করেন। অনুসন্ধানকালে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহভাজন রবিউল ইসলাম, আব্দুল আজিজ সানা ও আল আমিন কারিকর কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় হাজির করে জিজ্ঞাসা কালে তারা মোটর সাইকেল ছিনতাই ও হত্যার কথা স্বীকার করে। বৃহস্পতিবার আড়াইটার সময় তাদের বক্তব্য অনুসারে তাদেরকে নিয়ে আনুলিয়া দাখিল মাদ্রাসার উত্তর পাশে টয়লেটে সেফটি ট্যাঙ্কির মধ্যে থেকে নিহত জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করে। সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় আটককৃত রবিউল ইসলাম শতাধিক জনতার সম্মুখে তাদের ছিনতাই ও হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। আটককৃতদের বক্তব্য অনুসারে ছিনতাইকৃত রেজিষ্ট্রিশন বিহীন মোটর সাইকেল ভারতিয় তৈরী হিরো ডিলাক্স ১০০সিসি যার ইঞ্জিন নং এইচএ-১১ই জেজেজিএইচ-০০৭২৮ ছিনতাই ও হত্যার সাথে জড়িত শফিকুল ইসলামের বাড়ী থেকে উদ্দার করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা প্রস্তুতি চলছিল বলে থানা সুত্রে জানাগেছে। আটককৃতদের স্বীকাররোক্তি অনুযায়ী জানাগেছে ৫ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুঃ ৭টার সময় রাজাপুর গ্রামের জনৈক বিল্লাল শেখের দোকানের সামনে থেকে তারা জরুরী কাজ দেখিয়ে মোটর সাইকেলটি ভাড়া করে ছিনতাইকারীরা। বেশ কয়েক ঘন্টা এদিক সেদিক ঘুরাঘুরির এক পর্যায় ওই দিন রাত আনুঃ ১১টার সময় মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সামনে ইটের সোলিং রাস্তার উপর উপস্থিত হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আজিজ গাজী গাড়ীটি গতিরোধ করে তার হাতে থাকা দড়ি দিয়ে তার গলায় ফাঁস আটকে দেয়। এরপর রবিউল ও আজিজ দুদিক থেকে দড়ি টেনে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ সময় আলামিন চালক জাহাঙ্গীরকে জাপটে ধরে রাখে। এরপর জাহাঙ্গীরের লাশ মাদ্রাসার সেফটি ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে রাখে। ততপর রবিউল ছিনতাইকৃত মটরসাইকেলটি শফিকুলের বাড়িতে নিয়ে রেখে আসে। নিহত চালকের ভাই আলমগীর হোসেন জানান, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ এবং ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের কারনে জীবিত না হলেও মৃত ভাইকে আমরা পেয়েছি। তা না হলে ভাইকে যে মেরে ফেলা হয়েছে সেটাও আমরা কোন দিন জানতে পারতাম না। আমি সহ আমরা আমার ভাইয়ের হত্যাকারিদের ফাঁসি চাই।
আশাশুনিতে সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার ॥ আটক-৪
পূর্ববর্তী পোস্ট