নিজস্ব প্রতিবেদক :
সম্প্রতি নিন্ম চাপের ফলে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সাতক্ষীরার অধিকাংশ ইটভাটা মালিকেরা। অসময়ের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে জেলার শতাধিক ইটভাটার পাড়ান। এতে করে নষ্ট হয়েছে পাড়ান ও খাড়ির লক্ষ-লক্ষ প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট। মাথায় হাত উঠেছে ইটভাটা মালিকদের। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জেলার ইটভাটা মালিকরা।
সাতক্ষীরা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম জানান, অসময়ে বৃষ্টির কারণে জেলা ইটভাটাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে লক্ষ-লক্ষ প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইটভাটা মালিকেরা। অনেক ভাটা মালিকেরা ব্যাংক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই এমন বড় ধরনের ধাক্কায় সর্বশান্ত হয়ে গেছেন তারা। কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবে আর কীভাবেই বা নতুন করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন তা নিয়ে ইতোমধ্যেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক ইটভাটা মালিকেরা।
সাতক্ষীরা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ আব্দুস সবুর বলেন, জেলায় প্রায় এক’শ ইটভাটার মালিকেরা এখন দিশেহারা। প্রতিটি ইটভাটা মালিক ব্যবসার শুরুতেই ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। অনেক ইটভাটা মালিকের পক্ষে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এদিকে হঠাৎ বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষয়ক্ষতির কারণে জেলার সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে ইটের সংকট দেখা দিতে পারে। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে বলে অনেক ইটভাটা মালিক মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ইট তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানালেন, বৃষ্টিপাতের ফলে সম্পূর্ণরূপে আমাদের কাজ বন্ধ রয়েছে। কয় দিন বন্ধ থাকবে তাও জানা নেই। এতে করে যে কয়দিন কাজ বন্ধ থাকবে সে দিনগুলোতে কোন বেতন পাবনা।
হাড়ভাঙ্গা খাটুনি দিয়ে যে ইটগুলো তৈরি করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি হাজার কাচাঁ ইট তৈরিতে খরচ ১ হাজার টাকা। আবার নষ্ট ইট গুলো সরাতে খরচ হবে হাজারে ১হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে ভাটা মালিকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক বীমা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
অসময়ে বৃষ্টিতে সাতক্ষীরায় ইটভাটায় ব্যপক ক্ষতি॥ দিশেহারা মালিকেরা
পূর্ববর্তী পোস্ট