নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি এবং গণহত্যায় শহিদদের স্মরণে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ ও প্রথম আলোবন্ধু সভার আয়োজনে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের পিছনে অবস্থিত বধ্যভূমিতে শহিদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টায় সাতক্ষীরা নিউমাকের্টস্থ শহীদ আলাউদ্দীন চত্বর থেকে একটি আলোর মিছিল শহিদ আব্দুর রাজ্জাকপার্কে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসুল সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুমের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যনার্জী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি, সুধাংশু শেখর সরকার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেজুতি, মশিউর রহমান পলাশ, স্বপন কুমার শীল, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, আমির হোসেন খান চৌধুরী, জি এম মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ২৫ মার্চ বাংলাদেশের জন্য একটি ভয়াবহরাত। এই রাতে পাকসেনা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছিলো। সাতক্ষীরা শহরের মধ্যে ৫টি বধ্যভূমি রয়েছে। যেখানে ওই রাতে অনেক মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছিলো। অবিলম্বে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং সাতক্ষীরার ব্যধভূমি গুলো উদ্ধার পূর্বক সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।
সাতক্ষীরায় গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোর মিছিল
পূর্ববর্তী পোস্ট