নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ধুলিহরের ৫ গ্রামের প্রায় ৫শতাধিক পরিবার। এঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান করা হলেও তাদের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ যে অর্থ তাদের দেওয়া হয়েছে তা ক্ষতির তুলনায় অত্যান্ত সামান্য বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল আকস্মিক ঝড়ে ধুলিহর ইউনিয়নের সুখদেবপুর, মাটিয়াডাঙ্গা, বয়ারবাতানসহ ৫টি গ্রামের প্রায় ৫শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকরই বাড়ির চাল উড়ে গেছে এবং একজন আহতও হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সোহেল উদ্দিন।
সুকদেবপুর গ্রামে হরিদাস সরকার বলেন, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অনেক কষ্টে একটি আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু আকস্মিক ঝড়ে বাড়ির চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এতে ফলে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ২কেজি করে চাউল একং ২ হাজার টাকা দিয়েছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যান্ত কম। তাতে পুনরায় ঘরের চাউল নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া অবনি মন্ডল, সাধন সরকারসহ ভুক্তভোগীরা একই দাবি করে বলেন, এখন বৃষ্টি হলে পড়ে পড়ে ভেজা ছাড়া আর কোন উপায় আমাদের নেই। এমন সামর্থ নেই যে দ্রুত চালের কাজটি করতে পারবো। পুনরায় ধার দেনা করে করতে হবে। কিন্তু তা এই মুহুর্তে সম্ভব হচ্ছে ফলে বৌ-বাচ্চা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। এবিষয়ে তারা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
১৩.০৪.২০১৯