ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়যাত্রা থেমেছিল ক্রাইস্টচার্চে। ১২ ম্যাচ পর একদিনের ক্রিকেটে তারা ভুলে যাওয়া হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে ওই পরাজয়ের পাল্টা শোধ ভালোভাবে নিল প্রোটিয়ারা। তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৫৯ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১১২ রানে নিউজিল্যান্ডকে গুটিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। আর এটিই দ্বিপাক্ষিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।
ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। শুরুটা হোঁচট দিয়ে হয়। দলীয় ৪১ রানে ওপেনার হাশিম আমলাকে (৭) হারায় তারা। এর পর ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে কুইন্টন ডি কক গড়েন ৭৩ রানের জুটি।
তবে দলের ২৩তম ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কলিন ডি গ্রান্ডহোমের এক ওভারেই ডু প্লেসিস ও ডি কক সাজঘরে ফেরেন। ৭০ বলে থামে ডি ককের ৬৮ রানের ইনিংস। ৩৬ রানে আউট ডু প্লেসিস।
ক্রিজে নেমেই দ্রুততম ৯ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানো ডি ভিলিয়ার্স উপযুক্ত সঙ্গ পাননি ডেভিড মিলার ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের কাছে থেকে। তবে নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ওয়েন পারনেলের সঙ্গে ৮৪ রানের শক্ত জুটি ছিল তার। ৮০ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে সর্বাধিক ৮৫ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন ডি ভিলিয়ার্স। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২৭১ রান।
লক্ষ্যটা খুব কঠিন নয়। কিন্তু ধীরগতির পিচ ও আউটফিল্ডে প্রোটিয়া পেসারদের সামলাতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। কাগিসো রাবাদা, ওয়েন পারনেল, আনদিল ফেলুকবায়ো ও প্রিটোরিয়াসের বলে ব্যাটিং ধস নামে। চার পেসারের মধ্যে প্রিটোরিয়াস সবচেয়ে এগিয়ে, তার বোলিং ফিগার ৫.২-১-৫-৩। বাকিরা নেন ২টি করে উইকেট। পেসারদের উদযাপনের দিন খালি হাতে ফেরেননি ইমরান তাহির, একটি উইকেট নেন এ স্পিনার।
নিউজিল্যান্ড ১১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কেন উইলিয়ামসন (২৩) ও রস টেলর (১৮)। তাদের ৩৭ রানের জুটিই ব্ল্যাক ক্যাপদের একমাত্র প্রতিরোধ।
আর পেরে ওঠেনি স্বাগতিকরা। ১০০ না পেরোতেই ৯ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, আর গুটিয়ে যায় ১১২ রানে। গ্রান্ডহোম সর্বোচ্চ ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সূত্র- ক্রিকইনফো
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা- ২৭১/৮ (ডি ভিলিয়ার্স ৮৫, ডি কক ৬৮; গ্রান্ডহোম ২/৪০)
নিউজিল্যান্ড- ৩২.২ ওভারে ১১২ (গ্রান্ডহোম ৩৪, উইলিয়ামসন ২৩; প্রিটোরিয়াস ৩/৫)
ফল- দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ রানে জয়ী।