খেলার খবর: চলতি মৌসুমে লা লিগা এবং সুপার কোপার শিরোপা জেতা বার্সা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা হাতছাড়া করলেও মৌসুমের শেষটা রাঙানোর সুযোগ পেয়েছিল। কোপা দেল রে’র শিরোপা হতে পারত চ্যাম্পিয়নস লিগে হারের যন্ত্রণার একমাত্র উপশম।
শিরোপাটা জেতার জন্য মরিয়া বার্সা অধিনায়ক প্রথমার্ধে ২ গোল হজম করা বার্সাকে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে সমতায়ও ফিরিয়েছিলেন কিন্তু তাতেও কপাল খুলল না।
স্পেনের সেভিয়ায় গতকাল শনিবার রাতে প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া ভালেন্সিয়া ফাইনাল জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। শেষ দিকে লিওনেল মেসি ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে মেসির পা যেন কিছুতেই নড়ছিল না। রাজ্যের চাপা কষ্ট যেন তার পা জোড়া মাটির সঙ্গে শক্ত করে আটকে রেখেছে। তার ভার মুখখানা যেন বলছে, ‘আমি কি করেছি?’ আসলেই তো তার কি দোষ? পুরো ম্যাচের সেরা পারফর্মার হয়েও হারের কষ্ট বইতে হচ্ছে তাকে। ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তির অমন অসহায় চাহনি প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যেও সমবেদনা জাগাতে বাধ্য।
ম্যাচের ফল দেখে পুরোটা বোঝার উপায় নেই আসলে কতটা দুর্ভাগা আর্নেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা। ৭৮ শতাংশ বল দখল আর প্রতিপক্ষের গোলমুখে ৬টি সত্যিকারের শট নিয়েও হার নিয়ে ফিরতে হলো তাদের। ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলা দেখিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। সেভিয়ার মাঠ বেনিতো ভিয়ামারিনে ম্যাচের ১৮ মিনিটেই ভ্যালেন্সিয়ার পেনাল্টি অঞ্চলে দারুণ এক নিচু শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়া ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল।
মেসির প্রথম প্রচেষ্টার ৩ মিনিট পরেই বার্সার জাল কাঁপিয়ে গোল করে বসেন কেভিন গামেইরো। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে গামেইরোর পায়ে ঠেলে দেন গায়া। আর তা থেকে শজ শটে বার্সা গোলরক্ষক সিলেসেনকে পরাস্ত করেন ভ্যালেন্সিয়ার ফরাসি স্ট্রাইকার। ৩৩ মিনিটে বার্সার কপালে ভাঁজ ফেলে দেওয়া দ্বিতীয় গোলটি করেন ভ্যালেন্সিয়ার আরেক স্ট্রাইকার রদ্রিগো। তবে এতে বার্সা ডিফেন্ডার আলবার ভুলেরও দায় আছে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার প্রায় মিনিট দশেক পরেই মেসির শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৭১ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। এর ঠিক ২ মিনিট পরেই গোলের দেখা পান মেসি।
মেসির একমাত্র গোলটির পর নিজেদের রক্ষণ গুটিয়ে নেয় ভ্যালেন্সিয়া। শেষদিকে যখন মরিয়া বার্সা ডিফেন্স আলগা করে আক্রমণে ওঠে আসতে শুরু করে সেসময় উল্টো দুটো ভ্যালেন্সিয়া দুটো দারুণ কাউন্টার অ্যাটাক করে বসে। যদিও যোগ করা সময়ে উইঙ্গার গুয়েদেসের ওই দুই প্রচেষ্টা দক্ষতার সঙ্গেই সামাল দেন সিলেসেন।
চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে টানা চতুর্থবার খালি হাতে ফেরার পর এবার চার বছর পর কোপা দেল রে’র শিরোপা খোয়াল বার্সেলোনা।