খেলার খবর: তিনি বোলিংয়ে আসতেই গ্যালারি ‘সাকিব, সাকিব’ চিৎকারে মুখর। রবিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানো সাকিব একটি উইকেটের অপেক্ষায় ছিলেন। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে যে অপেক্ষার পালা শুরু, সেটা শেষ হলো বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এইডেন মারক্রামকে বোল্ড করে দারুণ এক কীর্তি গড়লেন ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার। ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ম্যাচে ৫ হাজার রান ও ২৫০ উইকেট শিকারের কীর্তি এখন সাকিবের অধিকারে।
আরেকটি কীর্তির পথে পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাককে পেছনে ফেলেছেন তিনি। রাজ্জাকের ২৩৪ ম্যাচ লাগলেও সাকিবের এই মাইফলকে পৌঁছাতে লেগেছে মাত্র ১৯৯ ম্যাচ। এ দুজনের পরেই আছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি (২৭৩), দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস (২৯৬) ও শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া (৩০৪)।
২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেক সাকিবের। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে আলো ছড়িয়ে বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচে জিতিয়েছেন তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকার কৃতিত্ব তার। আজ ওভালে আরেকটি কীর্তিও গড়েছেন সাকিব। টানা তিনটি বিশ্বকাপে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডার হয়ে খেলতে নেমেছেন তিনি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১১ হাজার রানের মাইলফলকেও পৌঁছালেন আজই।
এটা সাকিবের চতুর্থ বিশ্বকাপ। আগের তিনটি বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি সহ করেছেন ৫৪০ রান, আর উইকেট নিয়েছেন ২৩টি। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তার। ৭ সেঞ্চুরি ও ৪৩ হাফসেঞ্চুরি সহ বর্তমান রান ৫ হাজার ৭৯২। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান হলেও এখনও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। কে জানে, এবার হয়তো সেই আক্ষেপও দূর হয়ে যাবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।