পলাশ দেবনাথ নুরনগর :
শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের শিবচন্দ্রপুর গ্রামে রাস্তার পাশের প্রায় ১৫টি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় শিবচন্দ্রপুর গ্রামের কেষ্ট গাইনের ছেলে তপন গায়েন ও প্রশান্ত গায়েন ,মৃত শাসছুর গাজীর ছেলে সবিলা গাজী, মৃত এন্তাজ মাষ্টারের ছেলে ইদ্্িরস ও আবু তাহের,ভদ্র গাজীর ছেলে নূরইসলাম,মৃত সোনা শেখের ছেলে জুম্মান আলী,মৃত সাকাত মোড়লের ছেলে আব্দুস সাত্তার,মৃত বিশে গাজীর ছেলে জলিল গাজী সহ অনেকেই তাদের বাড়ির সামনের রাস্তার পাশের সরকারী ছোটবড় বিভিন্ন সাইজের শিশু ফুল গাছ কেটে সরিয়ে ফেলেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। গাছ গুলো কাটার পর গাছের গোড়ার অংশ মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে তারা। অন্যদিকে এখবর কৈখালী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সুদিন কুমার সরকারকে মোবাইল ফোনে বার বার অবহিত করার পরও কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহন করেননি বলে জানা গেছে। এলাকাবাসি বলছেন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সুদিন কুমার সরকার মোটা টাকা নিয়ে সরকারি গাছ কাটার সহযোগীতা করেছেন। তারা আরও বলেন উক্ত ভুমি সহকারী কর্মকর্তার সহযোগিতায় অত্র এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা বিভিন্ন স্থানের সরকারী গাছ অবাধে কর্তন সহ লুট পাটের এক মহাৎসব চলছে। একাধিক বার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করায় সচেতন মহল হতাশ। এছাড়া এই প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে কৈখালী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সুদিন কুমার সরকারের কাছে গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি খোঁজ রাখেন না বলে জানান। অন্যদিকে গাছ কর্তনকারীদের ভাষ্যমতে অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অসিম কুমার মন্ডল ও নায়েবকে বলে উক্ত গাছ কাটা হয়েছে বলে দাবী করেন তারা। অত্র এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানিয়েছেন সুযোগ বুঝে এলাকার কিছু অসাধু মহল অত্র এলাকার সরকারী কাছ কেটে লুট করার পাইতারা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় এলাকার সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শ্যামনগরে রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কাটার
পূর্ববর্তী পোস্ট