নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার হাড়দ্দাহ ইউনাইটেড ক্লাবের নির্বাচন দাবী করায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের মৃত শৈলেন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে রবিন ঘোষ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ১৯৯৮ সালে এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের সমন্বয়ে আমি হাড়দ্দাহ ইউনাইটেড ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে ক্লাবটি পরিচালনা হয়ে আসছিল। কিন্তু গত ৩ বছর পূর্বে অত্র ক্লাবের সভাপতি মনোনীত হন হাবিবুর রহমান ফকির। তিনি সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর থেকে ক্লাবটি তার নিজ ইচ্ছামত পরিচালনা করতে থাকেন। ক্লাবের খাতা পত্রের কোন ঠিক নাই। তিনি কোন সভা সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে করেননা এবং ক্লাবের নাম করে সীমান্ত এলাকার ব্যবাসায়ী ও চোরাকারবারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে নিজের পকেটস্থ করে থাকেন। এ বিষয়ে আমিসহ ক্লাবের অন্য সদস্যরা প্রতিবাদ করেন। তার সভাপতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার এক পর্যায়ে আমরা নির্বাচন দাবী করলে সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, কোন নির্বাচন দেয়া হবেনা, ক্লাবের আয়ব্যয়ের কোন খাতা পত্র ঠিক করা হবনা, ক্লাব যেভাবে চলছে সেভাবে চলবে বলে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আনারুল ইসলাম এবং ভোমরা ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গণির সাথে যোগসাজস করে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা করেন। আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় এবং উল্লেখিত ব্যক্তিরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা আমার বাড়িঘর ভাংচুর, সম্পত্তি দখলসহ আমাকে উচ্ছেদ করে ভারতে তাড়িয়ে দেবে মর্মে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্লাবের বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমান ও ইউপি সদস্য আব্দুল গণি দীর্ঘদিন ধরে চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা ক্লাবকে কুক্ষিগত করে তাদের অবৈধ ব্যসা পরিচালনা এবং এলাকার মানুষের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় তাদের একমাত্র কাজ। এছাড়া আনারুল ইসলাম থানায় দালালি করেন। তিনি এলাকার সাধারন মানুষকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করার কারনে এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে, হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডও পরিচালনা করে আসছেন। চোরাকারবারি হাবিবুর ও গণি এবং দালাল আনারুলের কারনে আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় তারা আমাকে ক্ষতি করতে পারে বলে আমি আশংখা করছি। এমতাবস্থায় তিনি (রবিন ঘোষ) তার জীবনের নিরাপত্তাসহ ক্লাবের নির্বাচনের দাবীতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হাড়দ্দাহ ক্লাবের নির্বাচন দাবি করায় ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
পূর্ববর্তী পোস্ট