শ্যামনগর প্রতিনিধি :
২৯ শে জুলাই সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে অবস্থিত পশ্চিম সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্টেশন অফিসের সামনে এ মিছিল সমাবেশের কর্মসুচী পালন করেন বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা থেকে আগত শত শত জেলে পরিবার। গত ১জুলাই থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পশ্চিম সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনবিভাগ। প্রজনন মৌসুমে মাছধরা, বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে সুন্দরবনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বনবিভাগ এ বিধিনিশেধ আরোপ করে । এ নিষেধাজ্ঞার ফলে কয়েক হাজার মাছ ও কাকঁড়া ধরা বাওয়ালিদের চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটছে।
নদী ও সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ আরোহন করে জীবিকার সংগ্রাম করে এ সব জেলে পরিবার। সরকারি ভাবে রেনুধরা বন্ধ থাকায় নতুন করে সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার না থাকায় বেকার ও প্রচন্ড অভাবে পড়তে হবে বলে জেলেদের অভিযোগ। তাছাড়া সুন্দরবনের মাছ ও কাঁকড়া যা প্রতিদিন দেশের ও বিদেশে প্রচুর চাহিদা মেটায়, তা নেমে এসেছে প্রায় শুন্যের কৌঠায়।
উল্লেখ্য সুন্দরবনের জল ভাগে রয়েছে ১৩টি বড় নদ-নদীসহ ৪৫০ টির মতো ছোট নদী ও খাল। জোয়ারে প্লাবিত হওয়া এ বনের নদী-খাল ভেটকি, রূপচাঁদা, দাঁতিনা, চিত্রা, পাঙাশ, রুপালি ইলিশসহ ২১০ প্রজাতির সাদা মাছের অন্যতম উৎস। এ ছাড়া রয়েছে গলদা, বাগদা, চাকা, চালি ও চামিসহ ২৪ প্রজাতির চিংড়ি।বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার প্রজনন হয়ে থাকে এ বনের নদী-খালে। রয়েছে ৪৩ প্রজাতির মালাসকা ও ১ প্রজাতির লবস্টার। এ ছাড়া রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন। বনের এ জলসীমায় রয়েছে ইরাবতী ডলফিনের অবাধ বিচরণ। বিষ ও জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে এই ডলফিনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
সুন্দরবনে প্রবেশের পারমিট চেয়ে বনজীবিদের মিছিল সমাবেশ
পূর্ববর্তী পোস্ট