নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে বাণিজ্য ভান্ডার নামে পরিচিত একে এস ব্রিক্স। এই ইউনিয়নের ঘনবসতী এলাকায় পরিবেশ নষ্ট করে অবৈধভাবে চলছে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর মহোৎসব। সুন্দরবন থেকে আসা চোরাই কাঠ ও স্থানীয় গাছ গাছালী ধ্বংস করে কয়লা তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বড়দল টু খাজরা সড়কের মধ্যস্থলে একে এস বিক্স চত্বরে ভাটা মালিক সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিবেশ নষ্ট করে কাট পুড়িয়ে কয়লা তৈরী করছেন। সেখানে প্রতিনিয়ত ৫টি চুল্লীর মাধ্যমে জ্বালানী কাঠ পুরানো হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ আগুনে পুড়িয়ে কয়লা তৈরী করা হচ্ছে। আর সেই কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়া ও ছাই ছড়িয়ে পড়ছে আস-পাশের এলাকাগুলোতে। কয়লা তৈরীর সময় আগুনের কালো ধোঁয়ার কুন্ডলীতে উক্ত সড়কে চলাচলরত যানবাহন ও পথচারীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পথচারীদের। এছাড়া কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী ঘনবসতী এলাকায় প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট করছে বলে জানান এলাকাবাসীর। পোড়া কাঠের ঝাঝালো গন্ধ ও কালো ধোঁয়া মানবদেহে প্রবেশ করে শ্বাস কষ্ট সহ নানা রকম অসুখে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরা। আর এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনজীবন ও সবুজ গাছপালা। ভুক্তভুগীরা জানায় দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশিই কাঠ পোড়ার ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামগুলোতে। গ্রামটিতে ঢুকতেই কাঠ পোড়ার গন্ধে নিঃশ্বাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে দেখা গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। তবে নিয়ম না মেনে ও অনুমতি ছাড়া কাঠ পোড়ানো বে-আইনী। অতিদ্রুত এসকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আশাশুনির বড়দলে ইটভাটায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির মহোৎসব
পূর্ববর্তী পোস্ট