অনলাইন ডেস্ক: মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও সাতক্ষীরার সাবেক এসপি সাজ্জাদুর রহমানের ছেলে সাদিক বিন সাজ্জাদের।
সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
এর আগে দুপুর ২টায় সাদিকের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন তিনি।
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, সাদিকের মাথার ডান পাশে একটি বুলেটের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সেই পাশ দিয়ে বুলেটটি ঢুকে মাথার বাম পাশের চামড়ার নিচে আটকে ছিল। সেই বুলেটটি বের করা হয়েছে। এ ছাড়া তার শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই বুলেটর কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে দুপুরে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায় লালবাগ থানা পুলিশ।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুপুর ২টায় ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় মরদেহ।
সোমবার সকালে আজিমপুরের সরকারি কোয়ার্টারের ৬৭ নম্বর বাসায় ওই ঘটনা ঘটে। সাদিক ঢাকা সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ডিএমপির ডিসি ও এডিসি পদমর্যাদার দুইজন কর্মকর্তা জানান, সকালে সবাই যখন ঘুমে ছিলেন তখন নিজের শয়নকক্ষে বাবার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেন সাদিক। তার কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো ছিল।
লালবাগ জোনের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আসলামুদ্দিন বলেন, একটা লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে রমনা জোনের ডিসির ছেলে সাদিক আত্মহত্যা করেছেন।
সম্প্রতি ডিএমপির রমনা বিভাগের নতুন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে যোগদান করেন সাজ্জাদুর রহমান। ২ সেপ্টেম্বর রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদারকে ঢাকার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হন সাজ্জাদুর রহমান। এর আগে তিনি সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায়।
সাজ্জাদুর রহমান ২০০৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি সিলেট, নীলফামারী ও ময়মনসিংহ জেলায় সার্কেল এএসপি হিসেবে কাজ করেন। ২০১০ সালে জাতিসংঘ মিশনে ইউএনপিওএল লাইব্রেরিয়ায় যান। সেখানে তিনি লজিস্ট্রিক সেকশনের টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মিশন শেষে করে ২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সাতক্ষীরার এসপির দায়িত্বও পালন করেন।