অনলাইন ডেস্ক: এবার এক উড়ন্ত ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ভয়ঙ্কর এ ছিনতাইকারীর নাম আবরার জাহিন। সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার আবু জাফর ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরার পুত্র আবরার জাহিন চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে এক বাইসাইকেল চালকের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওযার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে। বেরসিক জনতার হাতে ধোলাই খেয়ে পুলিশের খাচায় বন্দি হয় জাহিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক তরুণের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাই করার সময় আবরার জাহিন নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে সদরের দহাকুলা মোড়ে ছিনতাই করার সময় জনতা তাকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করেছে। সদরের ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাসানুজ্জামান জানান, সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বয়ারবাতান এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরঞ্জন মিস্ত্রির ছেলে সাগর মিস্ত্রি রামচন্দ্রপুর ও দহাকুলার মধ্যবর্তী স্থানে মোবাইল ফোনে ছবি দেখছিলেন। এমন সময় দ্রুতগতিতে একটি পালসার মোটরসাইকেল চালিয়ে উড়ন্ত স্টাইলে সাগরের হাত থেকে ‘ছো’ মেরে ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এসময় সাগরের চিৎকারে স্থানীয়রা ব্যারিকেট দিয়ে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে আটক করে জাহিনকে। পরে জনতা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানান এসআই হাসানুজ্জামান।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, দুদিন আগেও একই মোটরসাইকেলে একই স্টাইলে একই এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন ও পনের হাজার টাকা ছিনতাই হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসি আতঙ্কিত ছিলো। ভয়ঙ্কর উড়ন্ত ছিনতাইকারী থেকে তারা সতর্ক ছিলো বলেই ঘটনার পরপরই ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হয় এলাকাবাসি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান এলাকাবাসি।
ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাড়ির ফাড়ির ইনচার্জ এসআই হাসান জানান, মোবাইল ছিনতাই করার সময় জনতা তাতে আটক করে পুলিশে দেয়। সে তার পিতার নাম আবু জাফর ও মাতার নাম জোন্সা আরা বলে জানিয়েছে।