কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা ব্যুরো : আসন্ন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কাউন্সিল ঘিরে ব্যাস্থ সময় পার করছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীরা। আর এসব বিষয় নিয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে জানান, আমি নির্বাচিত হলে দলকে আরো সু-সংগঠিত করব। আমি দলের দুর্দিনে ছিলাম আর আগামিতেও থাকব। তার শিশুকালের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, আমি পারুলিয়া গ্রামের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ১৯৬৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহন করি। নলতা হাই স্কুল থেকে ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে এস.এস.সি পাশ করি। তারপর সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ থেকে ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এইচ এস সি পাশ করে সাতক্ষীরা কলেজে পড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হয়ে জেলা কমিটিতে অন্তভর্ূূক্ত হই। এরপর ঢাকা কলেজে ১৯৮৭ সালে প্রাণীবিদ্যা (অনার্স) ভর্তি হয়ে পরবর্তীতে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করি। আমি ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের মিলনায়তন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হই। ১৯৯০ সালে প্রাণীবিদ্যায় অনার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ঢাকা কলেজে পড়াকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি উপজেলা দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগ গঠনে অবদান রাখতে শুরু করি। ধারাবাহিক ভাবে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করি। একই সাথে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দেবহাটা উপজেলায় ব্যাপক কর্মসূচী পালন করেছিলাম। আমার ছাত্ররাজনীতির স্মৃতির অন্যতম ১৯৮৭ সালে ১০ নভেম্বর। যে দিন, যুবলীগ কর্মী নুর হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। ঐ মিছিলে আমিও ছিলাম। আমি ঢাকা কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৯৫ সালে দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করি। সু-সংগঠিত ভাবে ২০০২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৭ বছর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। এরপর ২০০৩ সালের ২৩ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের উপস্থিতিতে ভোটের মাধ্যমে প্রথমবারের মত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। সেখান থেকে দলের বিপদে-আপদে বলিষ্ট ভাবে নেতৃত্ব দান করি। আমি দায়িত্ব পালন কালে ইউনিয়ন,ওয়ার্ড কমিটিকে সু-সংগঠিত করেছি। এর মধ্যে ২০১২সালে ১২মে শেখ হাসিনার সাথে মতবিনিময় উপজেলার প্রতিনিধি হিসাবে নানা বিষয় তুলে ধরি। নেত্রী আমার কথা শুনে দলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। এরপর ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন-সম্পাদক মাহাবুব আলম উল-আলম হানিফের উপস্থিতিতে তৃণমূলের ভোটে ২য়বার নির্বাচিত হয়ে এখনো পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ২০১৩-১৪ সালে সহিংসতাকালে দলকে সংগঠিত করেছি। আগামী ১ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আবারো সর্বস্থরের ভোটারদের ভোটে সর্বউচ্চ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হবেন কলে মনে করেন তিনি। নির্বাচিত হলে তিনি উপজেলায় দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক, সন্ত্রাস প্রতিরোধে আরো শক্ত ভূমিকা নিয়ে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন তিনি। তাছাড়া দলের অবহেলিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে পদে আনা সহ আওয়ামীলীগের সংগঠনকে আরো মজবুত করবেন। তিনি সকল ভোটারদের কাছে বিগত দিনের বিষয়গুলো স্বরণ করিয়ে দিয়ে আবারো নির্বাচিত করার আহবান জানান।
বিজয়ী হলে ত্যাগীদের মূল্যায়ন সহ দলকে শক্তিশালী করার অঙ্গিকার দেবহাটা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মনি’র
পূর্ববর্তী পোস্ট