কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ বাংলাদেশে জমে উঠার কথা থাকলেও জমছে না। কেনই বা জমবে? দশম আসরে তিন ম্যাচ খেললেও যে তারা একাদশে রাখেনি সাকিব আল হাসানকে। আজ কি তাকে দেখার অপেক্ষার অবসান হবে? বলা যায়, বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে তারা নামালে বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে অন্য মাত্রা পাবে বিকাল সাড়ে ৪টার ম্যাচটি।
কারণ এ ম্যাচে কলকাতার প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ! যেই দলে আছেন আরেক বাংলাদেশি তারকা মুস্তাফিজুর রহমান। ইডেন গার্ডেন্সের লড়াই তাই বাংলাদেশে অন্য এক আবহের সৃষ্টি করছে। এখন দেখার অপেক্ষা সাকিবের উপর কলকাতা আস্থা রাখতে পারে কিনা?
সাকিবকে ছাড়া গুজরাট লায়ন্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে লড়েছে কলকাতা। ১০ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে এবারের আইপিএল শুরু করেছিল তারা। যদিও মুম্বাইয়ের কাছে হেরে যায়। এর পর গৌতম গম্ভীরের অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাবকে হারায় কলকাতা। আর সাকিবের বিকল্প হিসেবে দলে যাকে ভাবা হচ্ছে, সেই সুনীল নারিন কিন্তু দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন সর্বশেষ ম্যাচে।
অবশ্য হায়দরাবাদের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ মোকাবিলা করতে কলকাতা আরও শক্ত করতে চায় তাদের বোলিং বিভাগকে। এজন্য সাকিবের অপেক্ষার অবসান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর প্রতিপক্ষ দলে আরেক মূল বোলার যখন বাংলাদেশি, তখন সাকিবকে নেওয়ার চিন্তা করতেই পারে কলকাতা।
সবচেয়ে বড় কথা গত আসরের এলিমিনেটরে হায়দরাবাদের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার শোধ নিতে আজ নিজেদের মাঠে মুখিয়ে থাকবে কলকাতা। তাদের জন্য ভালো খবর হচ্ছে গম্ভীরের ফর্মে ফেরা।
অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর মুম্বাইয়ের কাছে তৃতীয় ম্যাচে হেরেছিল হায়দরাবাদ, যেটা ছিল মুস্তাফিজের এ আসরে প্রথম। কিন্তু বাঁহাতি পেসার নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। প্রথম ওভারে ১৯ রান দেন তিনি। তার বোলিং ফিগার ছিল বেশ দুর্বল, ২.৪-০-৩৪-০। গত আসরের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের এমন ফর্ম ডেভিড ওয়ার্নারদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তবে মুস্তাফিজের ঘুরে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা তাদের জন্য স্বস্তির হতে পারে। কলকাতার ম্যাচ সামনে রেখে মুস্তাফিজ আত্মবিশ্বাসী, ‘উইকেটের উপর নির্ভর করে অফ-কাটার। আশা করি ইডেন গার্ডেন্সে শুকনো উইকেট থাকবে এবং ম্যাচ দিনে শুরু বলে সেখানে অফ-কাটার ভালোভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ আছে।’
যদিও কলকাতার বিপক্ষে আগের আসরে তিনবার খেলে মাত্র দুটি উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। আর সব মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট তার। সাকিব ৪২ ম্যাচে নেন ৪৩ উইকেট, দুটি হাফসেঞ্চুরিতে সর্বমোট রান ৪৯৭। কলকাতার হয়ে ৫ বার আইপিএল খেলেছেন এ অলরাউন্ডার। অভিজ্ঞতার বিচারে মুস্তাফিজের চেয়ে সাকিবই এগিয়ে।
আর সমান ৪ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলেও মুস্তাফিজের হায়দরাবাদের চেয়ে উপরে সাকিবের কলকাতা। দুই নম্বরে কলকাতা, আর তিন নম্বরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দুই দলের লড়াই তাই হতে যাচ্ছে উত্তেজনার, যেখানে সাকিব ও মুস্তাফিজ মুখোমুখি হলে সেটা হবে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্যও অনেক বড় ব্যাপার। সূত্র- ক্রিকইনফো