বিজ্ঞান-প্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রগতিতে ইন্টারনেটের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য, যার ব্যবহারকে আরও সহজতর করেছে ওয়াইফাই। কিন্তু প্রযুক্তির এই নবতর সংযোজনের ক্ষতিকর প্রভাবও কিন্তু কম নয়, ভয়াবহ প্রভাবের জন্য তা ‘নীরব ঘাতক’ বলেও বিবেচিত হয়। তবে আধুনিক সময়ে তারবিহীন ডিভাইস এবং ওয়াইফাইকে পরিহারের কোন সুযোগ না থাকলেও, কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপেই এর ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। সম্প্রতি ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন কিছু বিষয়। (সূত্র: দ্য হেল্থ এডুকেশন)
ওয়াই-ফাই
ইন্টারনেট আসক্তির এই আধুনিক সময়ে ওয়াইফাই দেয় তারহীন ইন্টারনেট সেবা। যেখানে, যখন প্রয়োজন তখনই ইন্টারনেটের বিশাল জগতে ডুব দেওয়া সম্ভব এর মাধ্যমে। এই ব্যবস্থায় রাউটারের সাথে তড়িৎচু্ম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে সংযুক্ত হয় সেল ফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ। রাউটার থেকে নির্গত WLAN signals এর মাধ্যমে এই সংযোগ হয়।
স্বাস্থ্যজনিত নিরাপত্তা বিবেচনায় ওয়াইফাই রাউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানেরও কিছু কঠোর নিয়ম মেনে চলা উচিত। রাউটারের নির্গত তরঙ্গ পথ বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী রাউটার মানুষ, এমনকি গাছপালার বিকাশেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
ওয়াই-ফাইয়ের ক্ষতিকর প্রভাব:
- মনোযোগে সমস্যা
- কানে ব্যথা
- ঘন ঘন তীব্র মাথা ব্যথা
- দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
- ঘুমে সমস্যা
যদিও নবতর এই প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা সম্ভব নয়, তাই তারবিহীন ডিভাইস ও ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহারে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত, যার মাধ্যমে এর ক্ষতিকর প্রভার এবং সাইড ইফেক্ট অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে করণীয়
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ওয়াই-ফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।
- রান্নাঘর বা বেডরুমে রাউটার রাখা উচিত নয়।
- তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ হ্রাসে বাসায় থাকাকালীন তারযুক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন।
- ব্যবহার না করলে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন। এতে করে তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গ বন্ধ রাখা যায়, যা শিশুদের বিকাশের জন্য ক্ষতিকর।