কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নের সখিপুর বাজার মসজিদ হতে খেজুরবাড়িয়াগামী এবং সখিপুর বাজার হতে ধোপাডাঙ্গা-ভাতশাালা সড়ক অভিমুখ গামী দুইটি কার্পেটিং কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তা দুইটির একটির কাজ অনিয়মের মধ্যে শেষ করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। সখিপুর বাজার মসজিদ হতে খেজুরবাড়িয়া গামী রাস্তাটির অধিকাংশ যায়গায় গত বৃহস্পতিবার বর্ষার মধ্যেও পিচ দিয়েছিল বলে জানায় একটি সুত্রে। তিনদিন না যেতেই বেশ কিছু যায়গায় উঠে আসতে শুরু করেছে কার্পেটিং। রুলার আর আসবে না তাই নতুন করে ইট দিয়ে রুলার করছে ঠিকাদারের লোক। অপর দিকে সখিপুর বাজার হতে ধোঁপাডাঙ্গা-ভাতশালা সড়ক অভিমুখ গামী রাস্তার বেডে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া। যে খোয়ার উপরে রুলার টানতেই ধুলারমত হয়ে যাচ্ছে বেডের উপরিভাগ।
জানা গেছে, ২টি প্যাকেজের মাধ্যমে কালিগঞ্জের শাহজাহান আলম নামের এক ঠিকাদারের তত্বাবধানে ঐ সড়কের কাজ চলছে। যার একটিতে ৮৪ লাখ ৬ হাজার ৬৫২ টাকা এবং অপরটি ৯০ লাখ ৩৯ হাজার ৮১০ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একটি সড়কের কার্পেটিং সম্পন্ন হয়েছে অপরটি চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্পেটিংএর পূর্বে রাবিশ ইট দিয়ে লেবেল তৈরী করা হচ্ছে। যা সিডিউলের বহিরভূত। এছাড়া ঠিকাদারের লোক দিয়ে তড়িঘরি করে কাপের্টিং করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাবিশ ইট দিয়ে রুলার দিয়ে সাথে সাথে পানির সংমিশ্রণে ইটের রং পরিবর্তন করা হচ্ছে। এইক সাথে ময়লা মাটি, পাতা, কাঠ, পলিথিন সহ খোয়া ভরাট করা হচ্ছে।আর সমাপ্ত হওয়া কার্পেটিং রাস্তার কাজটি বর্ষার মধ্যে করায় বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ছোট ছোট ফাটল, নেই কোন ফিটনেছ। সরকারি নির্দেশিকা না মেনেই রাস্তার কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির বিরুেেদ্ধ।তবে রুলার আসবেনা বলে পিচ উঠে যাওয়ায় কিছু কিছু যায়গায় নতুন কার্পেটিং করে তলার অংশ ঢেকে দেওয়ার জন্য পিচের উপর ইট দিয়ে পিটিয়ে সমান করার দৃশ্যও চোখে পড়ে। বিষয়টি এলজিইডি কর্মকর্তাকে জানালে পরে রুলার গিয়েছিল এমনও জানাযায়। পরে এবিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানায়, রাস্তা নির্মানে অনিয়ম করলে আমার প্রতিবাদ করি। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকেরা প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, এমন ভাবে রাস্তার কাজ হলে বেশিদিন যাবে না। এব্যাপারে এসও আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের নিউজ করবেন কেন এমন প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা বলেছেন আমরা ব্যবস্থা নেব। এবিষয়ে ঠিকাদার শাহজাহান আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে ৩জন টাকা নিয়ে গেছে বলে জানান। তবে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি চড়াও হয়ে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে বলতে ফোনটি কেটে দেন। এদিকে,উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ হালদার কার্পেটিং’র বিষয়টি অফিসকে ঠিকাদার জানাইনি বলে জানান। তবে অপর রাস্তাটির ইটের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান আমি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
পূর্ববর্তী পোস্ট