নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামীলীগ নেতাদের তাবেদারি করেও শেষ রক্ষা হয়নি দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের অর্থদাতা কালু হাজীর। অবশেষে নাশকতা মামলার দায় নিতে হয়েছে তাকে। মামলা দায়ের হওয়ারপর বহাল তবিয়তে কালু হাজী। তার নামে নাশকতার মামলা থাকলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক সময়ের জামায়াতের নাশকতার মদদ দাতা কালু হাজী।
সূত্র জানায়, হাজী কালু দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি বিগত সময়ে জামায়াতের অর্থদাতা ছিলেন। অর্থযোগানের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডে নেতৃত্বও দিয়েছেন।
নওয়াপাড়া এলাকার নামপ্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক ব্যক্তিরা জানান, কালু হাজী শুধু জামায়াতের অর্থের যোগান দেওয়ার পাশাপাশি ২০১৩ সালের এ অঞ্চলের নাশকতার মদদ দাতা হিসেবে পরিচিত ছিলো। সে সময় তার অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলো গ্রামবাসী। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ভোলপাল্টে কালু হাজী স্থানীয় গুটি কয়েক আওয়ামীলীগ নেতাদের তাবেদারী শুরু করেন। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তবে গত ৭ সেপ্টেম্বর দেবহাটা থানার জামায়াতের অর্থদাতাসহ ১৭ জনের নামে নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় হাজী কালুকে ৯ নং আসামী করা হয়েছে। মামলাটির বাদী দেবহাটা থানার এস আই মাজরিহা।
এদিকে কালু হাজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি সাতক্ষীরা ছেড়ে খুলনায় অবস্থান করছিলেন। সেখানে বসেই স্থানীয় প্রশাসন কে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। অবশ্য এ চেষ্টায় তিনি সফল হয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কালু হাজী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে করে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যে কালু হাজীর অর্থ দিয়ে জামায়াত জেলা ব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে। যার কারণে ২০১৩ সালে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছে অনেকে। অথচ সেই কালু হাজীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরও কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ প্রশ্ন জনমনে। এভাবে যদি প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। তাহলে সরকারের ভাবমূর্তির সাথে সাথে প্রশাসনের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হবে বলে এলাকাবাসির দাবি।
অবিলম্বে ওই কালু হাজীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মামলার হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। যদি নাশকতার সাথে তিনি জড়িত থাকেন অবশ্যই তাকে গ্রেফতার করা হবে।