নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এর নির্দেশক্রমে সাতক্ষীরা সদরের লাবসায় আমির হায়দার ওয়াকফ স্টেট সম্পত্তি সরেজমিনে তদন্ত করলেন রংপুরের ওয়াকফ পরিদর্শক গোলাম সরোয়ার ই আলম। শুক্রবার সকালে ইসি নং ৪২৭০/আমির হায়দার ওয়াকফ স্টেট এর সম্পত্তির বিবরণ, কারণ ও ব্যাখাসহ তদন্ত প্রতিবেদন করার জন্য তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ওয়াককফ স্টেট দাবীকৃত মসজিদ সম্পর্কে স্থানীয় এলাকাবাসী ও লাবসা জমিদারবাড়ী জামে মসজিদেরমুসুল্লীদের সাথে কথা বলেন এবং ওয়াকফ স্টেট এর কথিত মুতাওয়াল্লি দাবিদার মাহমুদা খাতুনের সাথেও কথা বলেন পরিদর্শক গোলাম সরোয়ার ই আলম।
তদন্ত পরিচালনাকালে হাফেজ জাবির হোসেনকে ওয়াকফকৃত মসজিদের ইমাম হিসেবে উপস্থাপন করেন মুতাওয়াল্লি মাহমুদা। এসময় পরিদর্শক ও স্থানীয়রা তাকে আদৌও মসজিদের নামাজ পড়ানো হয় কিনা জানতে চাইলে সে বলে, আমি আগে কখনও এখানে নামাজ পড়াইনি বা পড়িনি। তবে আগামী রমজান মাসে আমাকে এখানে তারাবী নামাজ পড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মুতাওয়াল্লি মাহমুদা খাতুনের বাড়ীর কর্মচারী তালেবের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘ওয়াকফকৃত মসজিদে ওয়াক্তের ও জুমআ’র নামাজ হয়না। আমরাও লাবসা জমিদার বাড়ী জামে মসজিদে নামাজ আদায় করি।’
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে শেখ আব্দুল হাকিম, শেখ ইমামুল হোসেন, কাজী আবতারুল ইসলাম, শেখ মোমিনুল ইসলাম, মীর নাসের আলী, শেখ মঈনুল হক, এড. শহিদুল ইসলাম, শেখ নাসির মাহমুদসহ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াকফকৃত এই সম্পত্তির মুতাওয়াল্লি মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘আমার এখানে জুমআ’র নামাজ হয়না। এখানে রমজান মাসে তারাবী নামাজ ও ইফতারি দেওয়া হয়। আর এলাকার সব মুসুল্লিরা মিথ্যাবাদি এবং আমার শত্রু। আমার বাড়ি সম্পর্কে যে স্বাস্থ্য বিভাগের কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে ৩১ ধারার স্বাস্থ্য বিভাগের নামে সম্পত্তি রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব রেকর্ডের দু-পয়সাও মূল্য নেই। আমার বাড়ীতে ইনজাংশান জারি করা রয়েছে।’ এব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবসী ও মুসুল্লিরা সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান পূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট