দেশের খবর: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন; টেস্টও করিয়েছেন। তবে অন্য সবার মতো তিনিও ঘরবন্দি হয়ে আছেন।
রোববার দুপুরে নিজের বাসায় ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত কয়েক দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সেভাবে মিডিয়ায় দেখা না যাওয়ায় ফেসবুকে গুঞ্জন শুরু হয়। সেই সূত্র ধরে আজকের সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়, তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন কিনা।
উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমি তো কাজ করছি। করোনাভাইরাসে আমি নিজে আক্রান্ত নই। সেটি আমি টেস্টও করে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি সেইভাবে কোনো রকমের আক্রান্ত নই, বিধায় আমি… কোয়ারেন্টিনের কথা বলব না, বাট আমি আছি। যেভাবে অন্যরা আছে সেভাবেই আমি আছি।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেউ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরাসরি কোনো জবাব না দিলেও বিষয়টি নাকচ করে দেননি।
তিনি বলেন, আপনারা যেটি শুনেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তো অনেক বড় মন্ত্রণালয়। তাদের ওখানে অনেক লোকজন আসা-যাওয়া করে, ডাক্তার আসা-যাওয়া করে, বাইরের লোক আসা-যাওয়া করে… আমরা তো কাজ করি। কাজেই তাদের কারও হতে পারে, সেটি তো আছেই…।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দফতরের এক কর্মকর্তা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়েছে- কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ২৬ মার্চ নাকচ করেছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান খান।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন– করোনাভাইরাস রোধে আমাদের প্রস্তুতি ছিল কিনা। আমি বলতে চাই– আমরা জানুয়ারি মাস থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
‘চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়ায় বাংলাদেশ ভালো আছে। অনেকেই বলছেন– আমাদের দেশে সংখ্যা কম কেন? সংখ্যা বাড়লে কি আমরা খুশি হই?’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুধু চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। বিমানে যাতায়াত চলবে কিনা, তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়। ইউরোপ-আমেরিকার বায়ার অর্ডার ক্যানসেল করছে, এটিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেখার বিষয় নয়।
করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি বাড়বে কিনা এ বিষয়ে জাহিদ মালেক জানান, ছুটি বাড়বে কিনা তা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।