মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ বকচর গ্রামের ইউনুচ আলী সরদারের ছেলে শ্রীউলা ইউনিয়নের এসপি নামে পরিচিত নুরুজ্জামান বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কার ইন্ধনে গ্রাম পুলিশ নুরুজ্জামান এত বেপরোয়া এটা নিয়ে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে বহুদিন থেকে। সর্বশেষ রবিবার বিকালে ইউনিয়নের নাকতাড়া কালিবাড়ি বাজারে সংবাদিক তোষিকে কাইফুর সাথে কথা কাটাকাটির ভিডিও থেকে তার আসল চরিত্র বেরিয়ে এসেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে গ্রামপুলিশ নুরুজ্জামান সাংবাদিক তোষিকে কাইফুর সঙ্গে চরম খারাপ ব্যবহার করার পাশাপাশি তাকে মারার জন্য উদ্যত হয়ে বারবার তার দিকে এগিয়ে আসছে। ভিডিওটিতে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলকে নিরব পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন লাকি বলেন, গ্রাম পুলিশ নুরুজ্জামান এসআই থেকেও বেশি পাওয়ার নিয়ে এলাকার চলাফেরা করে। শুধু নুরুজ্জামান নয় গ্রামপুলিশ কোহিনুর, ছাইফুলসহ আরো দুই একজনের চালচলন দেখে মনে হয় তারা থানার এসআই। শ্রীউলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম বুলু বলেন, চেয়ারম্যান শাকিল ভাই গ্রাম পুলিশের হাতে এত বেশি পাওয়ার দিয়ে দিছে যে তাদের জন্য ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ খুব নাজুক অবস্থায় আছে। এলাকায় আমরা সবাই তাকে এসপি নুরুজ্জামান হিসাবে জানি। আমার কথা বিশ্বাস না হয় আপনি এলাকায় এসে জেনে দেখেন এলাকার অধিকাংশ মানুষই তাকে ব্যঙ্গ করে এসপি নুরুজ্জামান বলে ডাকে। প্রভাষক দীপঙ্কর বাছাড় দিপু বলেন, গ্রামপুলিশ নুরুজ্জামান ছোটবেলা থেকেই চরম বেয়াদব। কয়েক বছর পূর্বে সে হাফ প্যান্ট পরে সব সময় বাজারে ঘুরে বেড়াতো। সে সময়ে আশাশুনি থানার কয়েক জন অফিসারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল । উনারা বলেছিলো গ্রামপুলিশ নুরুজ্জামানকে যদি ফুলপ্যান্ট পরাতে পারি তাহলে এই থানায় চাকরি করব নয়তো এ থানায় চাকরি করব না। উনিই সেই গ্রাম পুলিশ নুরুজ্জামান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ সরদার বলেন, গ্রাম পুলিশ নুরুজ্জামানের এরকম ব্যবহার এটা প্রথম নয়। অনেক আগে থেকেই সে চরম বেয়াদব। ইউপি চেয়ারম্যানের ইন্ধনে সে সবার সঙ্গে বেয়াদবি করার এত সাহস পায়। এদের মত মানুষের জন্য বর্তমানে ইউনিয়নে ভালো মানুষের বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে।সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে থাকলে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জকে লিখিত অভিযোগ করার কথা বলেছি।আশাশুনি উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সচেতন সমাজ বিষয়টির তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
পূর্ববর্তী পোস্ট