দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় অসহায় পরিবারের উপার্জন বন্ধ সহযোগিতা প্রদানের আবেদন, ভ্যান চালিয়ে সংসার নির্বাহ করত আমার স্বামী। কিন্তু ৪ বছর আগে আমার স্বামীর ক্যান্সার ধরা পরে। চিকিৎসার পেছনে খরচ করে সব শেষ হয়ে গেছে আমাদের। স্বামীর চিকিৎসা আর পরিবার চালানোর জন্য বাধ্য হয়ে নেমে পড়তে হয় কর্মের সন্ধানে। শ্রমিকের কাজ করে কোন কিছু ঠিকমত চলত না। তাই ঠিক করি একটা চা দোকান দেব। ঈদগাহ বাজারে একটি চায়ের দোকান দিয়ে সংসার পরিচালনা করতে থাকি। তাতে খুব বেশি লাভ না হওয়ায় চায়ের সাথে আলুর চপ, বেগুনি, সিংড়া ইত্যাদি ভাজা বিক্রয় করতে শুরু করলাম। তাতে কোন রকম সংসার চলতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব ঠেকাতে সারাদেশ লকডাউন করে দেওয়া হয়। এতে বন্ধ হয়ে গেছে আমার চায়ের দোকানটি। আমার অসুস্থ স্বামী এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অন্যদিকে আমার দোকানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আয় বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমরা খাব কি? কি করে চলবে আমার সংসার। আমার ২টি ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করে। তাদের মুখে কি তুলে দেব। এই পরিস্থিতিতে আমাদের তো অনাহারে মরা ছাড়া কোন উপায় নেই সামনে। জানি না আর কত দিন এই পরিবেশ থাকবে। দু-চোখে অশ্রু নিয়ে আবেগঘন মনে নিজের কষ্টের কথা বলছিলেন দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের মাঘরী গ্রামের ক্যান্সার আক্রান্ত আব্দুল গফ্ফারের স্ত্রী। তার কাছ থেকে আরো জানা যায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতে সরকারি বে-সরকারি সংস্থা খাদ্য সামগ্রী প্রদান করলেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোন সহায়তা। তাই প্রশাসনের সু-নজরের পাশাপাশি হৃদয়বান ব্যক্তিত্বদের এমন অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগীতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতনমহল।
পূর্ববর্তী পোস্ট