খেশরা (তালা) প্রতিনিধি : তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে সরকার কর্তৃক ‘সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রয়’ করা হয়েছে। খেশরা ইউনিয়নের শালিখা বাজারে দুইশত জনের অধিক ভোক্তার মাঝে শেখ মুশফিকুর রহমান এর স্বত্তাধীন ‘শেখ ট্রেডার্সে’র মাধ্যমে এ পণ্য বিক্রয় করা হয়।
করোনার প্রভাবে খরচ বাঁচাতে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য কিনতে নিম্নআয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বিক্রয় কেন্দ্রে ভিড় করতে শুরু করেছেন। লজ্জা ভেঙে দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘ লাইনে। কিনছেন কম দামে পণ্য। তবে অনেক বিক্রয় কেন্দ্রেই সামাজিক দূরত্ববিধির নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। শুক্রবার খেশরা ইউনিয়নের শালিখা বাজারে টিসিবির বিক্রয়স্থানে এ চিত্র দেখা গেছে।
সামাজিক দূরত্ব না মানার বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির ডিলার মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা সামাজিক দূরত্ব মানার কথা বলে দিয়েছি। অনেক সময় আমরাই বিষয়টা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। তবে অনেক সময় সাধারণ মানুষ তা মানছেনা। তবে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের নির্দেশে তালা ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবকেরা এসময় প্রত্যেককে সামাজিক দুরত্ব মেনে পণ্য কেনায় বাধ্য করে।
শালিখা বাজারে টিসিবির এ বিক্রয়স্থানে পণ্য কিনতে এসেছেন বেসরকারি সংস্থার পরিচালক আহসান হাবিব। তিনি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে জানান, আমি আমার পরিবার নিয়ে চলতে পারছি না। সংস্থার সর্বরকম কার্য্যক্রম বন্ধ থাকায় পরিবারপরিজন নিয়ে চরম দুঃসময় অতিক্রম করছি। গত মাসের বেতনের টাকা শেষ। সংসারের খরচ ও নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। এখানে বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কমে পণ্য কেনা যাচ্ছে।
বিক্রেতা মুশফিক বলেন, কয়েকদিন আগেও টিসিবির আমার ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্রে নিম্নআয় ও খেটে খাওয়া মানুষের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এখন মধ্যবিত্তরাও ভিড় করছেন। প্রতিদিনই তাদের ভিড় বাড়ছে। চেহারা দেখেই টের পাচ্ছি।
মুজিববর্ষকে ঘিরে টিসিবি চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা ও খোর্মা খেজুর ভর্তুকিমূল্যে বিক্রি করেছে। যা করোনা ইস্যুতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এ ছাড়া মার্চের এক তারিখ থেকে রমজানকে ঘিরে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। এখন সারা দেশে ৩৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পণ্য কিনতে আসা নাছরিন আক্তার জানান, আমার স্বামী একটি বেসরকারি কলেজে চাকরি করেন। কিন্তু তার এখনও বেতন হয়নি। তিনি
বলেন, প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। কিন্তু বাজারে ৭০ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এ ছাড়া লিটারে ২৫ টাকা সাশ্রয় হয়েছে সয়াবিন তেলে। আর মসুর ডাল পাচ্ছি ৫০ টাকায়। কিছুটা সাশ্রয়ের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি।
জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবি গত বছরের তুলনায় এবার বেশি পণ্য নিয়ে মাঠে আছে। ডিলারদের পর্যাপ্ত পণ্য দিয়ে প্রতিদিন স্পটে পাঠানো হচ্ছে। পণ্যের কোনো সংকট নেই। সব স্তরের মানুষ কিনতে পারবেন। পণ্যের ভিতর রয়েছে ২/৫লিটার সয়াবিন তেল, ২/৪ কেজিচিনি, ১কেজি মসুল ডাল, ১কেজি ছোলা, ৫০০গ্রাম খেজুর বিক্রয় করা হয়।