প্রেস বিজ্ঞপ্তি : দেশে এমন এক সময় সুপার সাইক্লোন আম্পান আঘাত হেনেছে, যখন মহামারী করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিম শিম খেতে হচ্ছে। তারপর ও জীবন চলমান, সবকিছু মোকাবেলা করেই দেশ প্রেমের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মানুষের পাশে থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫পদাতিক ডিভিশন।
করোনার শুরুতেই লকডাউনে সাধারণ জনগণকে ঘরে রাখা, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা, কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন অমান্যকারীদের ঘরে ফেরানোর কাজসহ জনসচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন যশোর সেনানিবাসের সেনাসদস্যরা। দেশের এমন পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থেকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি হতদরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য দিনরাত ত্রাণ নিয়ে ছুটে চলেছেন। এছাড়াও হাটবাজারও বিভিন্ন দোকানপাট, বিপণী বিতান গুলোতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে মানুষকে সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন, গণপরিবহণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করাসহ নানাবিধ জনকল্যাণ মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে যশোর সেনানিবাসের সেনাসদস্যরা।
অন্য দিকে সুপারসাইক্লোন আম্পান মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত কাজ করছে সেনাসদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত১১ জুন উপকূলবর্তী সাতক্ষীরা এবং খুলনার ক্ষতিগ্রস্থবেড়িবাঁধ পরিদর্শনে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী প্রধান। এসময় তিনি সেখানে অবস্থানরত সেনাসদস্য এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহয়তা এবং সকলের সঙ্গে বিনয়ী আচরণের মাধ্যমে দ্রুতবেড়িবাঁধ নির্মান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য রক্ষায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তএলাকায় গুরুত্ব দিয়ে সুপেয় পানিও স্যানিটেশন ব্যবস্থানিশ্চিত করণ, ত্রাণ তৎপরতা ও ঘরবাড়ী মেরামতে পাশাপাশি পানিবন্দী মানুষদেরকে ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব হতে রক্ষা করতে জরুরী চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য জন সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট