নিজস্ব প্রতিনিধি : চলতি মৌসুমে এক লাখ ২৭ হাজার ৯৩০ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। (পাট পরিমাপ করা হয় সাধারণত বেল পদ্ধতিতে, আর ১’শ ৮০ কেজিতে এক বেল বলা হয়ে থাকে।)
তবে, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অধিক তাপমাত্রার কারণে পাট গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া এবং পাটের পাতায় পোকা লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও কৃষি বিভাগ পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃশ্যমান নানা সমস্যা সমাধানে কৃষকদের পরামর্শ অব্যাহত রেখেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে জেলার ১১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৯৩০ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলার চার হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে ৫২ হাজার ৫৮০ বেল, কলারোয়া উপজেলার তিন হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে ৩৩ হাজার ৯৯০ বেল, তালা উপজেলার তিন হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ৩৬ হাজার ৮৫০ বেল, দেবহাটা উপজেলার ১০৪ হেক্টর জমিতে এক হাজার ১৪০ বেল, কালিগঞ্জ উপজেলার ১৮৫ হেক্টর জমিতে দুই হাজার ৩৫ বেল, আশাশুনি উপজেলার ১২০ হেক্টর জমিতে এক হাজার ৩২০ বেল ও শ্যামনগর উপজেলার এক হেক্টর জমিতে ১১ বেল পাট উৎপাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এসব জমির অধিকাংশতেই আবাদ করা হয়েছে তোষা জাতের পাট।
সদর উপজেলার তুজলপুর কৃষক কাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেন জানান, তিনি চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে তোষা জাতের পাট লাগিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে তার ক্ষেতে ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তার এলাকার অধিকাংশ ক্ষেতে পাটের পাতা কুকড়ে যাচ্ছে এবং বিছা পোকায় পাতা খেয়ে ফেলছে। এতে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ায় প্রত্যাশা পূরণে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, সাতক্ষীরায় খুব ভাল মানের পাট উৎপাদন হয়। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে, কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট