কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : ২০ নভেম্বর কালিগঞ্জ থানা পাকহানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তাঞ্চল স্তম্ভের বেদিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে (২০ নভেম্বর) কালিগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও এই দিনটি স্বরণ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এসএম, গোলাম ফারুকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান আহসান উল্লা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ইউনিটের সভাপতি ইঞ্জিনিয়র শেখ মেহেদী হাসান সুমন প্রমুখ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ডের আয়োজনে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ তৈরীর কিংবদন্তি নায়ক। এখানে বড় ছোট কেউ নেই সবাই সমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার আর্দশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ৪০জন ওসি চাকুরীরর সুবাদে কালিগঞ্জ থানায় এসেছিলেন। তবে বর্মমান জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন ব্যাতিক্রমী ব্যাক্তি। শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ শহীদ সোহরাওয়ার্দী পার্কে অবস্থিত মুক্তাঞ্চল স্তম্ভের বেদিতে এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রকৃতিতে পুস্পমাল্য অপর্ণ শেষে অনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পাতাকা উত্তোলণ করেন। আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এসএম, মমতাজ হোসেন মন্টু।
পূর্ববর্তী পোস্ট