বিদেশের খবর : জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়া আটকাতে সুপ্রিমকোর্টে গিয়েও ব্যর্থ হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত ট্রাম্পের একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। খবর ইউএসএ টুডের।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে বিজয়ী হিসেবে প্রত্যয়ন না করার জন্য সেখানকার আদালতে আবেদন করেছিল ট্রাম্প শিবির। পেনসিলভানিয়ার আদালত মেইলে দেয়া ভোট বাতিলের দাবিতে করা এ মামলা আগেই খারিজ করে দেয়।
পরে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করে ট্রাম্প শিবির। ট্রাম্পের আশা ছিল– সুপ্রিমকোর্টে তার নিয়োগ দেয়া তিনজন রক্ষণশীল বিচারপতি তার পক্ষে রায় দেবেন। মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট ট্রাম্প শিবিরের মামলাটি খারিজ করেন। ফলে ট্রাম্প আরেকটি বড় ধাক্কা খেলেন।
এই রায়ের ফলে রাজনৈতিক ও আইনি দুভাবে ট্রাম্প হেরে গেলেন। ফলে আগামী সপ্তাহে ইলেকটোরাল কলেজ বৈঠকে বাইডেনের আনুষ্ঠানিক জয়ের ঘোষণা ঠেকানোর সব পথ বন্ধ হলো।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্যমতে, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের একাধিক মামলা ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি। সর্বশেষ টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন অন্য চার অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন সুপ্রিমকোর্টে। এই পদক্ষেপকে নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়া বা সময়ক্ষেপণের আরেকটি হীন প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
মামলায় জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য ভোটে অনিয়মে জড়িত ছিল এবং তার তদন্ত প্রয়োজন বলে আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনে এই চার অঙ্গরাজ্যের ফল বাতিল ও নির্বাচনের ফল প্রত্যয়নের সময়সীমা ১৪ ডিসেম্বর থেকে বাড়ানোর আদেশ চাওয়া হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর ইলেকটোরাল কলেজের ভোট হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ামানুযায়ী কোনো রাজ্যে পপুলার ভোটে জয়ী প্রার্থীকে ভোট দেবেন ওই রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ। ওই দিনই বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক জয়ী ঘোষণা করা হবে। ২০ জানুয়ারি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।
প্রসঙ্গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেন পপুলার ও ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জয়ী হন। তিনি ৩০৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পান। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩৪ টি। ট্রাম্প এই ফল মেনে নেননি।