অনলাইন ডেস্ক : ভারতে কৃষকদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত কৃষি আইন সংশোধনের যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেইসঙ্গে আবারও জানিয়ে দিয়েছেন, সংশোধন নয়, নতুন এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। নয়তো আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বুধবার আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলোর কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্র সরকার। তাতে বলা হয়, নতুন কৃষি আইন নিয়ে সব রকম ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত সরকার। শুধু তা-ই নয়, কৃষকদের কথা ভেবে আইন সংশোধন করতেও সম্মত তারা। কিন্তু এই প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দেন কৃষকরা। খবর এনডিটিভির
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষকরা এই পাঁচ দফা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তাদের দাবি না মানা হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করার কথা বলেছেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার কথাও জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কৃষকদের ক্ষোভ মেটাতে পাঁচ দফা প্রস্তাব রেখেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। বুধবার সকালে পাঁচটি প্রস্তাব লিখিত আকারে কৃষকদের কাছে পাঠানো হয়। এরপর এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনায় বসেন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে কৃষকদের ভাষ্য, কেন্দ্রের প্রস্তাব আমরা আলোচনা করে দেখতে পারি। কিন্তু এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। নয়তো আন্দোলন চলবেই।
প্রস্তাবগুলো হলো: ১. ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাতিল করা হবে না, কেন্দ্র এই নিয়ম মেনে চাষিদের কাছ থেকে ফসল কিনবে। ২. কৃষিমান্ডি আরও উন্নত ও মজবুত করা হবে। ৩. চাষিদের কাছ থেকে ফসল কিনতে হলে ব্যবসায়ীদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। ৪. চুক্তিভিত্তিক চাষের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে সাধারণ আদালতে যেতে পারবেন চাষিরা। ৫. ফসলের আগাছা জ্বালানো সম্পর্কিত কঠোর আইনে পরিবর্তনের আশ্বাস।
নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশটিতে টানা ১৪ দিন ধরে চলছে কৃষকদের বিক্ষোভ। যত দিন যাচ্ছে, বিষয়টি ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে মোদি সরকারের ওপর। এরমধ্যে সরকার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে কিছুটা নরমও হয়েছিল প্রস্তাব দিয়ে। কিন্তু এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে। কৃষকরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের আল্টিমেটাম দিচ্ছেন।