এম. বেলাল হোসাইন : হাঁস-মুরগী নিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে বিরোধের জেরে মারপিটের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ১ বছরের প্রবেশন দিলেন সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন নাহার। মঙ্গলবার এ আদেশ দেন আদালত। আসামীরা ভিকটিমের চিকিৎসার ব্যয় হিসেবে দুই হাজার টাকা প্রদান করবেন এবং প্রবেশনকালীন সময়ে ফলজ বৃক্ষ প্রদান করবেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় হাঁস-মুরগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দেবহাটার শুশিলগাতী গ্রামের আকবর আলী আপোন ভাইপো আব্দুল্লাহকে এবং আকবরের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন আব্দুল্লাহ‘র স্ত্রীকে জাহানারাকে মারপিট করে। এঘটনায় জাহানারা পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে জানা যায়, ভিকটিম আব্দুল্লাহ আসামী আকবরের ভায়ের ছেলে আবার আসামী মনোয়ারা ভিকটিম আব্দুল্লাহ এর আপন খালা এবং চাচী। ভিকটিম আব্দুল্লাহ এর স্ত্রী জাহানারা এর সাথে আসামী মনোয়ারার হাঁস মুরগী নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে আকবর ভাইপোর মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারে। আর মনোয়ারা জাহানারাকে মারধোর করে। ২৭জুন ১৬ তারিখে চার্জ গঠন হয়।
সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামী আকবরকে ৪ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, আসামী মনোয়ারাকে ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। আসামীদের কন্যা মুন্নিকে খালাস দেয়া হয়। তবে শাস্তি স্থগিত রেখে শর্তসাপেক্ষে উভয়কে ১ বছরের জন্য প্রবেশন প্রদান করা হয়। শর্ত হলো আসামীরা ভিকটিম আব্দুল্লাহ ও জাহানারাকে ৫ টি ফলজ গাছ প্রদান করবে। আব্দুল্লাহ ও জাহানারা চিকিৎসা খরচ বাবদ নগদ দুই হাজার টাকা প্রদান করবে।
উক্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড মোঃ শামছুল বারী এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. মো. রফিকুল ইসলাম (৩)।
এবিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মো: রফিকুল ইসলাম(৩) বলেন, বিজ্ঞ বিচারক পর্যালোচনা করে যে রায় দিয়েছেন একটি সঠিক বিচার হয়েছে বলে মনে করি।