স্বাস্থ্য ও জীবন: ঈদ আসে, ঈদ চলে যায়। ঈদ হাসতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়; ত্যাগের মহিমা শেখায়। তবে কোরবানির ঈদে অনেকের অতিভোজন ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। একটু সচেতনতা, একটু স্বাস্থ্যজ্ঞান আমাদের ঈদ-পরবর্তী বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
ঈদ-পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি যা হতে পারে
১. কোষ্ঠকাঠিন্য
২. ওজন বেড়ে যাওয়া
৩. ডায়রিয়া ও আমাশয়
৪. পেটে গ্যাস, এসিডিটি, ব্যথা ও বমি বমি ভাব
৫. রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
৬. রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
৭. রক্তের চর্বি বেড়ে যাওয়া
৮. স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়া
৯. পায়খানার রাস্তায় জ্বালাপোড়াসহ রক্তক্ষরণ
১০. ভ্রমণজনিত শারীরিক দুর্বলতা
১১. পানিশূন্যতা
১২. খাবারে অরুচি
১৩. ঘুম কম হওয়া।
স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচতে করণীয়
১. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে মাংস কম খেয়ে সালাদ, লেবু, শসা, কাঁচামরিচসহ বেশি করে শাকসবজি খান।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যালরি হিসাব করে খাবার খান।
৩. ডায়রিয়া, আমাশয় প্রতিরোধে বিশুদ্ধ পানি ও বাইরের খাবার পরিহার করুন।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে লবণযুক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে কম চিনিযুক্ত খাবার খান।
৬. বাজারের কোমল পানীয় না খেয়ে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার, ডাবের পানি, বাসায় বানানো দেশি ফলের জুস খাবেন।
৭. হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য টক দই খেতে পারেন।
৮. মাংসের ফ্রাই ও বারবিকিউ খাবেন না। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৯. ঈদের খুশিতে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। ব্যায়াম চালিয়ে যান আগের মতোই।
১০. ঈদে খাবারে ক্ষতিকর রং, লবণ, ঘি, মাখন, পাম অয়েল ব্যবহারযুক্ত কোনো খাবার খাবেন না।
১১. ঈদ-পরবর্তী যেকোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান এবং সুস্থ থাকুন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।