আসাদুজ্জামান : ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, দেশের দক্ষিনাঞ্চলেনর মানুষ বারবার ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে তাদের সব সহায় সম্পদ হারাচ্ছেন। মানবিক বিপর্যয়ের মুখে তাদের জীবন জীবিকা কৃষি ও অন্যান্য পেশা রক্ষায় জলাবদ্ধতারোধে নদী ও সংযোগ খাল খনন অতীব জরুরি। তিনি বলেন, টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট বা জোয়ারাধার প্রকল্প ) এর মাধ্যমে পলি পড়ে জমে যাওয়া বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী ও খালে পানি প্রবাহ বাড়িয়ে এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব।
ফজলে হোসেন বাদশা বুধবার সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় ‘নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ শীর্ষক এক পদযাত্রা কর্মসূচি ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নদী ও খাল শুকিয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চল এক বিরানভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। মানুষ তার পেশা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছে। অনেকে দেশান্তরী হচ্ছেন। গ্রামের পর গ্রাম সারা বছর ধরে পানিমগ্ন হয়ে থাকছে। কৃষি ও মৎস্য সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন নদী খাল শুকিয়ে যাওয়ায় লবনাক্ততার তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে এই অঞ্চলের পরিবেশও ভারসাম্য হারাচ্ছে। এ এলাকা মানুষের বসত অনুপযোগী হয়ে উঠছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ অঞ্চল মরুভূমি হয়ে যাবে। এই জনপদ সমুদ্রগর্ভে চলে যাবে। সুন্দরবন হারিয়ে যাবে।
কিছু মন্ত্রী আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সহ্য করতে পারেন না উল্লেখ করে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল ও চিনিকল ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগের সমালোচনা করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ^াসীদের মন্ত্রীসভায় দেখতে চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন দেশকে সংবিধান অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মহিবুল্লাহ মোড়লের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সাধারন সম্পাদক ফাহিমুল হক কিসলু, অধ্যাপক সাব্বির হোসেন, স্বপন কুমার শীল, আবিদুর রহমান, অজিত কুমার মন্ডল প্রমুখ।
পদযাত্রা ও জনসভায় ওয়ার্কাস পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে টিআরএম পদ্ধতি চালু করা, নদী ও খাল খনন করা, নদীর সঙ্গে খালের সংযোগ স্থাপন, দক্ষিনাঞ্চলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মান, স্লুইসগেট গুলো সচল করা, সকল অবৈধ ইজারা বাতিল এবং নদী তীরে বসবাসকারী মানুষকে সরিয়ে তাদের পুনর্বাসন করা। ##
পূর্ববর্তী পোস্ট