প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় অবৈধভাবে ঘের দখলের চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা করায় আসামিরা বাদিকে মারপিট, খুন জখম সহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের মৃত নকুল চন্দ্র সাহার ছেলে ঘের লিজ গ্রহনকারী লক্ষীপদ সাহা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কালিগঞ্জের কামদেবপুর মৌজাস্থ ৩১ নম্বর জে,এল এর ৩৪৫,৩৪৬ ও ৩৪৭ নং খতিয়ানের ৬২৮ দাগসহ মোট ১০টি দাগে ৯.৩২ একর জমি ক্রয়সূত্রে মালিক ভাড়াশিমলা গ্রামের মৃত. শেখ মতলেব আলীর ছেলে শেখ রমজান আলী। আমি রমজান আলীর কাছ থেকে উক্ত জমি ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইজারা নিয়ে চিংড়ি ঘের পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু ভাড়াশিমলা গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল করিমের ছেলে শেখ মুনজুরুল ইসলাম বিভিন্নভাবে আমার ওই ঘের অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত শুরু করে। একপর্যায় গত ১৩ জানুয়ারি রাতে মুনজুরুলের নেতৃত্বে তার ছেলে ওয়াসিম পাপ্পু, মৃত. মোজাম্মেল হকের ছেলে জাকির হোসেনসহ ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমার মাছের ঘেরে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এসময় তারা মাছ লুট ও ঘেরের বাসায় আগুন দিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে চারজনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
ঘের মালিক লক্ষীপদ সাহা আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কালিগঞ্জ থানায় একটি শালিসী বৈঠক বসে। সেখানে বিচারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি জমির মালিক শেখ রমজান আলীকে তার জমির দখল বুঝিয়ে দিলে আমি আমরা ঘের ফেরত পাই। কিন্তু বেলা আড়াইটার দিকে উক্ত শেখ মুনজুরুল ইসলাম, তার ছেলে ওয়াসিম পাপ্পু ও জাকির হোসেন, মৃত বকস গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুস সাত্তার সহ ৪/৫ জন লোহার রড, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার ঘেরে ফের হামলা চালায়। এসময় তারা জমির মালিক শেখ রমজান আলীর কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় তারা রমজান আলী ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার ও মেয়ে তামান্নাকে মারপিট করে। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে মুনজুরুল গংরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় শেখ রমজান আলী বাদি হয়ে থানায় উল্লেখিত চারজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই আসামি সাত্তারকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তড়িৎ ভূমিকায় আমরা ফের আমাদের ঘেরের দখল বুঝে পাই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মুনজুরুল গংদের নামে থানায় মামলা হওয়ায় তারা আবারও প্রকাশ্যে আমার ঘের দখলের হুমকি দিচ্ছে। মুনজুরুল ও তার ছেলে পাপ্পুসহ অন্যরা আমাকে মারপিট ও খুন জখমের পাশাপাশি মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মুনজুরুল প্রকাশ্যে বলছে তুই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যা, নইলে তোর লাশ কেউ খুঁেজ পাবে না। ফলে তাদের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি।
তিনি ভূমিদস্যু মুনজুরুলের কবল থেকে ঘের রক্ষাসহ পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা ও মিথ্যে হয়রানি থেকে পরিত্রানের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সাতক্ষীরায় মাছের ঘের রক্ষা ও নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট