অনলাইন ডেস্ক : দ্রুত বিচার আইনের মামলাসহ ছিনতাই, মাদক ও মারামারি মামলার আসামিদের সঙ্গে সেলফি ও ফটো সেশন করে বিতর্কিত হলেন বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
আসামিরা রোববার রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ওসির সঙ্গে ওই সেলফি ও ফটো সেশনের ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা দেশের ন্যায় বাউফল থানায় ৭ মার্চ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওই দিন বিকালে থানা চত্বরে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যার পর গান বাজনার পর্ব শুরু হয়।
ওই আনন্দ উৎসব চলাকালে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী ও দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলার ১নং আসামি ফয়েজ বিশ্বাস, ২নং আসামি মামুন হাওলাদার, ৩নং আসামি কবির মৃধা, ৯নং আসামি হাসান দফাদার ও ১০নং আসামি আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন সেলফি ও ফটো সেশন করেছেন। তা ওই রাতে নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেন।
ওসির সঙ্গে সেলফি ও ফটো সেশন করা ওইসব আসামিদের বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামে মিজান মৃধার বাড়িতে হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে। মিজান মৃধা বাদী হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি নালিশি পিটিশন দায়ের করলে আদালত এ ঘটনায় মামলা নেয়ার জন্য বাউফল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থানায় এ মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
বাদী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলার কোনো আসামি আদালত থেকে জামিন নেয়নি। বরং আসামিরা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। সেই আসামিদের সঙ্গে থানার ওসির সেলফি ও ফটো সেশন করায় তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি ওই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ওসির সঙ্গে আসামিদের সেলফি ও ফটো সেশনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সব ব্যক্তিদের নামে ছিনতাই, মাদক ও মারামারির মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। অনেকেই তার সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলেছেন। তাদের মধ্যে কে আসামি আর কে আসামি না তা আমি চিনতে পারিনি।