প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার দেবহাটায় প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তির অংশ না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া, মারপিট ও হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সন্ধায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পদ্মশাখরা গ্রামের শেখ রেজাউল ইসলামের বিধবা কন্যা দুইটি শিশু পুত্র সন্তানের মাতা ফারিহা আফরিন রিপা।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১১ সালে পদ্মশাখরা গ্রামের মোশাররফ হোসেনের পুত্র সাইফুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তার ঔরসে আমার গর্ভে ২পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। আমার স্বামী বিগত ২০০২ সাল থেকে কুয়েত প্রবাসী ছিলেন। সেখানে থাকাকালিন সময়ে অনেক অর্থ উপার্জন করে বাড়িতে পাঠাতো। সেই টাকায় স্বামীর ভিটায় ৪তলা বাড়ি, ভোমরা স্থলবন্দরে নিজস্ব জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে। গত ২০১৯ সালে আমার স্বামী বাড়িতে আসলে ভোমরা স্থলবন্দের মার্কেটের পাশের জায়গা লিখে নেওয়ার জন্য আমার শ^শুর মোশাররফ, দেবর মহাসিন কবির, বাহারুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এনিয়ে শাখরার বাড়িতে বসাবসি হয়। সেখানে দেবর মহাসিন কবির আমার স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করে এবং শ^শুর ও অন্য দেবরা সহযোগিতা করে। এতে আমার স্বামী বুকে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার স্বামী কুয়েত চলে যায়। সেখান থেকে মাঝে মাঝে ফোনে বলতে তার বুকের ব্যাথা খুব বেড়েছে। কিছুদিন পর কুয়েতে আমার স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পরসম্প লোভী দেবর মহাসিন কবির, বাহারুল, বদরুল ও শ^শুর আমার দুই পুত্র সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এছাড়া স্বামীর নামীয় মার্কেটের ভাড়া উত্তোলন করে নিজেরা আত্মসাথ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে আমি স্বামী হারা স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি।
গত ২১.০৩.২০২১ তারিখে ভোমরায় আমার স্বামীর নামীয় মার্কেটের ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে ভাড়া নিতে গেলেও আমার চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারপিট করে, আমার বৃদ্ধা পিতাকেও মারপিট করে। এছাড়া আমার ছোটপুত্রে কে ছুড়ে ফেলে দেয় ওই সম্পদ লোভীরা।
আমি একদিকে স্বামী হারিয়ে বিধবা হয়েছি। অন্যদিকে সম্পদ লোভী দেবর ও শ^শুরদের অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে এতিম দুই সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বামীর মার্কেট ভাড়ার টাকাগুলোও তারা ভোগ করে যাচ্ছে। এবিষয়ে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেও কোন লাভ হয়নি। বসাবসি হলেও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে হাকিয়ে দিয়ে বলে পারলে আদায় করে নিস। আমার স্বামীর মৃত্যুতে তাদের মধ্যে কোন শোকতাপ নেই। তাদের জন্য আরো ভালো হয়েছে তার সম্পত্তিগুলো ভোগদখল করতে পারছে ওই লোভীরা। তাদের এতিম ভাইপোরা পথে পথে ঘুরে বেড়ালেও কোন খবর রাখে না। তিনি একজন বিধবা অসহায় নারী হিসেবে এতিম দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তির অংশ বুঝে পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
দেবহাটায় স্বামীর সম্পত্তির অংশ না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট