দেশের খবর : নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর পিলারের সঙ্গে ফেরি শাহ জালালের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যেরা হলেন—বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ-সংরক্ষণ) এম শাহজাহান, বিআইডব্লিউটিসির এজিএম (মেরিন) আহমেদ আলী ও এজিএম (ইঞ্জিনিয়ারিং) রুবেলুজ্জামান।
এদিকে, শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত ফেরি শাহ জালাল সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে ওই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে শুক্রবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে শুক্রবার সকালে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের রোরো ফেরি শাহ জালালের ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। মাদারিপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ফেরিটি নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায় যাত্রীরা। পরে শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি নোঙর করতে সক্ষম হন চালক।
রোরো ফেরি শাহ পরাণের চালক আব্দুর রহিম জানান, ফেরির ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফেল করায় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে ফেলে। এ সময় নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিটি পিলারে গিয়ে ধাক্কা খায়।