আসাদুজ্জামান : কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্ট্রগ্রাম, ফেনী ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় গণ অনশন, গণ অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
গণ অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসুচি পালনকালে সংহতি প্রকাশ করে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও সাতক্ষীরা-১ (তালা+কলারোয়া) আসনের সাংসদ অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, জাসদের জেলা সভাপতি শেখ ওবায়দুল সুলতান বাবলু
, রাধাশ্যামসুন্দর মন্দিরের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি গোষ্ট বিহারী মন্ডল, সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল।
বক্তারা বলেন, দুর্গাপুজা চলাকালিন মহাষ্টমীর দিনে কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড় মন্দিরে পরিকল্পিতভাবে রেখে দেওয়া একটি কোরআন শরীফকে নিয়ে সেখানে মন্দিরসহ হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এরপর একে একে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালি, ফেনী, রংপুরসহ দেশের কমপক্ষে ১৫টি জেলার মন্দির, প্রতিমা, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা এ সময় মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, নির্যাতন, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান। ##