প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভদ্রাকাটি গ্রামের ভূমিদস্যু সোহরাব হোসেন কর্তৃক চাকলা তেলেখালী মৌজার ১৫ একর সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন, প্রতাপনগরের দিঘলার আইট গ্রামের মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে মোঃ সাহেব আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা তেলেখালী মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের হাল ৫০১ দাগের ১৫ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। সুভদ্রাকাটি গ্রামের মৃত শওকত আলী সানার ছেলে চিহিৃত ভূমিদস্যু সোহরাব হোসেন ২০০৭ সাল থেকে উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছে। ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার গৃহহারা দরিদ্র জনগোষ্ঠির আবাসনের লক্ষ্যে উক্ত সরকারি খাস জমিতে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত একটি আশ্রয়ন প্রকল্প করার জন্য প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন আশাশুনি ইউএনও বরাবর আবেদন করেন। পরবর্তীতে তদন্ত পূর্বক ওই জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি নকশা তৈরী করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষক দল এসে সরেজমিনে পরিদর্শন করে আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য প্রস্তার পেশ করেন।
সাহেব আলী আরো বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের একপর্যায় বিষয়টি জানতে পেরে ভূমিদস্যু সোহরাব হোসেন ১৫ একর সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে ভোগ দখলের উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালের ২৩ আগষ্ট আশ্রয়ন প্রকল্পের ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশান দাখিল করেন। ফলে আশ্রয়ন প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রতাপনগর ইউনিয়নের বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে বিভিন্ন স্থানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাড়িঘর হারিয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে পাড়ি জমিয়েছে। চাকলা তেলেখালী মৌজায় প্রস্তাবিত আশ্রয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বহু মানুষের গৃহের সংস্থান হবে।
ভূমিদস্যু সোহরাব হোসেন ২০১৫ সাল থেকে কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই অদ্যবদি উক্ত ১৫ একর খাস জমি অবৈধভাবে ভোড়দখল করে আসছেন। নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হতে সে ওই জমিতে প্রস্তাবিত আশ্রয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশান দাখিল করে দরিদ্র জনগোষ্ঠির আবাসনে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত করছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ নভেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সোহরাব হোসেন নিজেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দাবি করেছেন, যা সম্পূর্ন মিথ্যে। কয়েক বছর আগে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি ধর্ষন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বর্তমানে তিনি আ’লীগের কোন পদে নেই। সংবাদ সম্মেলনে তার দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ন মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।
তিনি অবৈধ দখল থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলায় ১৫ একর সম্পত্তি উদ্ধারপূর্বক সেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রস্তাবিত আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ মামলাবাজ ও ভূমিদস্যু সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।