নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় স্ত্রী রেখে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিবাহ করা আলোচিত শিক্ষক খায়রুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর ২১ তারিখে মানিকহার দ্বি মুখী দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত ১৬ অক্টোবর ২১ তারিখে মানিকহার দ্বি মুখী দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রী থাকতেও মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিবাহের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে টনক নড়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আব্দুর নুর খান, রাহেলা খাতুন ও মঈনুল আমিন মিঠুর সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর গত ১০ নভেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এবিষয়ে মানিকহার দ্বিমুখী মাদ্রাসার সুপার ফজুলর রহমান খায়রুলকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমে খায়রুল বিবাহের বিষয়টি মৌখিকভাবে স্বীকার করলেও পরে অস্বীকার করে। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুল ইসলামের মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
খায়রুলের প্রথম স্ত্রী তানিয়া খাতুন বলেন, আমার অভিযোগের ভিত্তিতে তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে শর্ত স্বাপেক্ষে খায়রুলের সাথে মিমাংসা হয়। সেখানে দ্বিতীয় বিবাহের বিষয়টি অস্বীকার করে খায়রুল। কিন্তু কয়েকদিন পর মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করার পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে আবারো পালিয়েছে খায়রুল। তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে। কারো সাথে যোগাযোগও করেন না।
উল্লেখ্য: মানিকহার দ্বিমুখী মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তো একই প্রতিষ্ঠানের এস এস সি পরীক্ষার্থী মানিকহার গ্রামের আব্দুল মাজেদের কন্যা । প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ফুঁশলিয়ে গত কায়েক মাস পূর্বে তাকে বাল্য বিবাহ করে শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। অথচ তানিয়া নামে খায়রুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী রয়েছে। যদিও পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী , তার পিতা এবং খায়রুল বিবাহের বিষয়টি অস্বীকার করে।