জাহাঙ্গীর আলম, কলারোয়া প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের খাদ্য বিতরণকে কেন্দ্র করে এন এ টি পি (সীল) কর্মী আশেকে রাসূলের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল ১১ টায় এন এটি পি প্রকল্পের(২) আওতায় কলারোয়ায় ১৩ জন খামারিদের মাঝে খাদ্য ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম থাকায় সকাল থেকেই খামারি এবং প্রকল্পের কর্মীরা অফিসে উপস্থিত ছিলেন।
সেসময় কলারোয়া ভেটেনারি সার্জন ডাঃ সাইফুল ইসলাম খামারিদের খাদ্য ঔষধ টাকা বুঝিয়া পাবার আগেই খামারিদের মাঝে উস্কানির মাধ্যমে পরিস্থিতি বেগতিক করার চেষ্টা চালান।
তিনি খামারিদেরকে বলেন মোট ৩৭৫ কেজি খাদ্য এবং চার হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে এমন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করলে পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে গেলে প্রকল্পের আওতায় কর্মী আশেকে রাসুল বিষয়টির প্রতিবাদ করেন এবং কলারোয়ার প্রাণিসম্পদ অফিসার অমল কুমার সরকারের সরকারি কাজের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য কেন দিচ্ছেন জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে আশেকে রাসুল উপরে হামলা চালান ভেটেনারি সার্জন ডা সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত খামারি এবং অন্যান্য অফিস কর্মকর্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই বিষয়ে আশিকে রসুল সাংবাদিকদেরকে জানান, কলারোয়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডক্টর অমল কুমার সরকারের নির্দেশনায় আমি সকাল থেকেই খাদ্য ঔষধ সামগ্রী বন্টনের কাজ করছিলাম। খামারিরা সুষ্ঠু ভাবেই এখানে উপস্থিত ছিল কিন্তু হঠাৎ করেই ডা ঃ সাইফুল ইসলাম স্যার কিছু খামারীকে তার কাছে ডেকে নিয়ে গিয়ে তিনি মিথ্যা ভুল তথ্য দিয়ে অমল কুমার সরকার স্যার কে খামারিদের কাছে খারাপ করার জন্য প্রচেষ্টা চালায় সে সময় কিছু খামারি আমাদের কাছে সরকারের বরাদ্দ থেকে বেশি খাদ্য বস্তা দাবি করে আমি তার প্রতিবাদ জানালে তিনি বলেন ডাঃ সাইফুল ইসলাম আমাদেরকে বলেছেন আমরা ২৪০কেজি না ৩৭৫ খাদ্য পাবো আমি সে বিষয়ে জানার জন্য সাইফুল ইসলাম স্যারের কাছে যাই এবং গিয়ে দেখি তিনি একজন খামারিকে একই পরামর্শ দিচ্ছে।
এবিষয়ে স্যারের কাছে জানতে চাইলে স্যার আমার মারতে তেড়ে আসেন এবং ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন এবং দুই টাকার সীল বলে গালিগালাজ করতে থাকেন।
উন্নয়ন প্রকল্পে এমনটি করে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছেন বলে মনে করেন সীল আশেকে রাসূল।
এই বিষয়ে অমল কুমার সরকার বলেন, আমার নির্দেশনায় আশিকে রসুল সকাল থেকেই খাদ্য ঔষধ বন্টন এর কার্যক্রমে সহযোগিতা চালিয়ে আসছিলেন আমি কলারোয়া ইউএনও সাহেবের সাথে একটি মিটিংয়ে ছিলাম এসে শুনি খাদ্য বিতরণে একটি ভুল তথ্য দিয়ে খামারিদেরকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন ডা ঃ সাইফুল ইসলাম।
সত্যতা জানতে চাইলে ডাঃ সাইফুল ইসলাম সাহেব আমার সাথে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে আমি তার সত্যতা পেয়েছি বিষয়টি পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ভেটেনারি সার্জন সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে চাননি।
উল্লেখ্য, কলারোয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন সাইফুল ইসলামের অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এই পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তার বিরুদ্ধে।
আগেও তিনি মাঠকর্মী কে আটকে টাকা আদায় খামারীকে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া তালিকাবিহীন ঔষধ বিতরণ সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।