নিজস্ব প্রতিনিধি : লংকাবাংলা ফাইন্ডেশনের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার শীতার্থ দরিদ্র মানুষ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল, সোয়েটার ও চাদার বিতরন করা হয়। এসব শীতবস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৫০০ টি কম্বল, ১ হাজার টি সোয়েটার ও ১ হাজার চাদর। গতকাল দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সহ¯্রাধিক হতদরিদ্র নারী-পুরুষের মাঝে কম্বল ও চাদর বিতরন করা হয়।
আজ সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবেরর সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপীর সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন, মো. হাবিবুর রহমান হেড অফ জি.আই.এস লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হেড অফ ডিজিটাল টাস্কফরমেসন লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, মো. রাজীউদ্দিন ব্রাান্ড মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন লংকা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং মো. আল আমীন লংকা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড যশোর শাখা ব্যবস্থাপক, যুগেরবার্তা সম্পাদক আ.ন.ম আবু সাইদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।
এসময় লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড এর কর্মকর্তাবৃন্দ বলেন, লংকাবাংলা ফাইন্ডেশন বারো মাসই সমাজের হতদরিদ্র বা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে আত্মমানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়। বর্তমান দেশের বিভিন্ন জেলাতে লংকাবাংলা ফাইন্ডেশনের পক্ষ থেকে শীতার্থ দরিদ্র মানুষ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল, সোয়েটার ও চাদার বিতরন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সাতক্ষীরাতে কিছু পরিমান শীতবস্ত্র দেয়া হলো। হয়তো বা তাদের উপকারে আসবে এসব শীতবস্ত্র পেয়ে।
এছাড়া জেলার ৯টি প্রতিবন্ধি স্কুল ও তিনটি অন্ধ কল্যান সমিতির সদস্যদের মাঝে কম্বল, সোয়েটার ও চাদর বিতরন করা হয়।
এরমধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি স্কুল, সইুড খাতিমুন্নেছা হানিফ লস্কার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি স্কুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ প্রতিবন্ধি স্কুল, হাইকেয়ার প্রতিবদ্ধি স্কুল, গয়েশপুর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি স্কুল, কাথন্ডা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি স্কুল, ঘোনা এস.কে এস বুব্ধি প্রতিবন্ধি স্কুল, মির্জানগর এস.কে প্রতিবন্ধি স্কুল ও হরিশপুর প্রতিবন্ধি স্কুল এবং তিনটি অন্ধ কল্যান সমিতির সদস্যদের মাঝে এসব কম্বল, চাদর ও সোয়েটার বিতরন করা হয়।
এসব শীতবস্ত্র পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে সাতক্ষীরার ছিন্নমুল ও দরিদ্র মানুষেরা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এল্লারচর ভেড়িবাধের উপর বসবাসরত ভুমিহীন আব্দুর রহিম জানান, ১টি কম্বল ও ১টি চাদর পেয়ে তার পরিবারে অনেক উপকৃত হয়েছে। অর্থাভাবে শীতবস্ত্র ক্রয় করার মত সক্ষতা নেই তার।
সাতক্ষীরা অন্ধ কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম জানান, তার সমিতির বেশ কিছু দৃষ্টি প্রতিবিন্ধ সদস্যকে কম্বল ও চাদর দেয়া হয়েছে। এতে তারা অনেক উপকৃত হবে।