নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা মুচিদাহ খালে এফ.সি.ডি.আই প্রকল্পের খাল খননে পুকুর চুরি হয়েছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের মৎস্য নির্ভর ইজারাকৃত মুচিদাহ খাল খননে সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার তত্বাবধানে এফ.সি.ডি.আই-এর একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ঐ প্রকল্পে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রেখে খালটি ১ হাজার ফুট দৈর্ঘ্যে ৮০ ফুট প্রস্থে ২ ফুট গভীরে খননের কথা থাকলেও এখানে নামে মাত্র খালের পাড় কেটে ৮ লক্ষ টাকাই হজম করার পায়তারা করছে স্থানীয় বাবু লাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। খালটি খননের জন্য প্রকল্পের স্থানীয় সুফল ভোগীদের দ্বারা ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করার নিয়ম থাকলেও বাবু লাল নিজেই অন্য সদস্যদের নাম দিয়ে খালের পাড় ছাটাই করে প্রকল্পের টাকা হজমের চেষ্টা করছে। অনুসন্ধানে গিয়ে কথা হয় মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের হরশিত মন্ডল, প্রকাশ মন্ডল, হরিপদ মন্ডল সহ খাল অববাহিকার ভুক্তভোগীদের সাথে। তারা এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বাবু লাল এ বছর নয় গতবছরও খালটি খননের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেলে নামে মাত্র খালের পাড় ছাটায় পূর্বক প্রকল্পের সমুদয় টাকা হজম করে। চলতি মৌসুমে খালটি খননের জন্য ৩য় দফা এফ.সি.ডি.আই প্রকল্পের নামে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলে মুষ্টিমিয় সুবিধাভোগীদের নিয়ে বাবু লাল ও তার সহযোগীরা খাল খনন তো দুরের কথা খালের মজবুত পাড় ছাটাই করে খনন দেখিয়েছে। এছাড়া ঐ প্রকল্পের পাড়ের উপর বনায়ন কর্মসুচীর উল্লেখ থাকলেও তার বালাইমাত্র নেই খালটির পাড়ে। এ বিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত বাবু লাল এর সাথে। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, তালার বেশিরভাগ সাংবাদিকরা তার বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িয়ে রয়েছে তাই সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য উৎকোচের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়ে তালা উপজেলা মৎস্য অফিসার হাদিউজ্জামান জানিয়েছেন, কোন প্রকল্প, কোথার প্রকল্প এসব যেনে আপনার কোন লাভ নেয়। তাছাড়া তাদের এখনো দ্বিতীয়, তৃতীয় পর্যায়ের টাকা উত্তোলন হয়নি। অবশ্যই আপনার সাথে বাবু লাল ও তার সহযোগীরা যোগাযোগ করে সন্তুষ্ট করবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোহাম্মাদ মুহিউদ্দীন এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, প্রকল্পের খোজ খবর নিয়ে দুর্নীতি পরায়নদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট