নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় দীর্ঘদিনের যাতায়াতের সরকারি রাস্তা দখল করে ভবন নির্মানের ঘটনা ঘটেছে। ফলে অত্র এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৩ শ পরিবারের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত গ্রাম্য ডাক্তার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন তিনি তার রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মাছখোলা এলাকায় এঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৪/৫ পূর্বে পাশ্ববর্তী গ্রাম দামারপোতা এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার ও শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান মাছখোলায় এসে সাহাদাত হোসেন বাবুর শরিকদের কাছ থেকে গোপনে মাছখোলা মৌজায় ৫১০১ ও ৫১০৭ আর এস দাগে সাড়ে ৮শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে শালিশের সীদ্ধান্ত অনুযায়ী রাস্তার ধারে ৫১০১ দাগে দেড় শতক জমিতে তিনি ১তলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ি নির্মাণের সময় এলাকাবাসীর তোয়াক্কা না করে ১শ বছরের যাতায়াতের সরকারি রাস্তা দখল করে বাথরুমের ট্যাংকি নির্মাণ করেন। সে সময় এলাকাবাসী বাধা দিলেও তিনি কারো কথা শোনেননি। মাছখোলা বাজার মোড় থেকে ২৪ ফুট চওড়া রাস্তাটি জেয়ালা হয়ে ব্রহ্মরাজপুর বাজার পর্যন্ত চলে গেছে। ওই রাস্তাটি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাস্তাটি পাকা করনের কাজ শুরু করলে তাকে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে ওই জমির শরিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
একই এলাকার মৃত হোসেন গাজীর পুত্র লোকমান হোসেন বলেন, মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর যাতায়াতের চরমভোগান্তি দেখে আমি কিছু দিনের জন্য আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তি ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু তাই বলে সারা বছর ছেড়ে দেবো এটা হতে পারে না। এছাড়া রাস্তা মাস্টারের দখলে থাকায় মানুষ কবরস্থানের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। এনিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। মাস্টার কোন মতেই রাস্তা ছেড়ে দিতে রাজি নন। আমি ইতোমধ্যে আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে ঘেরা দিয়েছি। এলাকাবাসী অবিলম্বে ওই সরকারি রাস্তাটি অবমুক্ত করনে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তবে অভিযুক্ত মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত ৪/৫ বছর পূর্বে আমি এখানে জমি ক্রয় করি। সে সময় তাদের দেখানো আমার রেকর্ডীয় জমির উপরেই আমি বাড়ি নির্মাণ করেছি। সে সময় বাধা না দিলেন এখন তারা বলছেন আমি নাকি রাস্তা দখল করেছি। তারা আমার বাড়ির সামনে ঘেরা দিয়ে রেখেছে। ফলে আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।
এবিষয়ে ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন বলেন, সরকারি রাস্তার উপরে ভবন নির্মানের বিষয়টি সঠিক। তবে বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।
১৫.০৫.২০২২