নিজস্ব প্রতিনিধি :
কলারোয়ার নাকিলা পশ্চিমপাড়ায় ইটের সোলিং এর রাস্তায় নি¤œমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী বাধা দিলেও ঠিকাদার কর্ণপাত না করায় উপায়ন্তর হয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। ইউএনও নি¤œমানের ইট পরিবর্তনের নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেরালকাতা ইউনিয়নের নাকিলা পশ্চিমপাড়া বাবুর আলির মোড় হতে বলিয়ানপুর রাস্তাটি দীর্ঘদিন কাঁচা থাকায় অত্র এলাকার মানুষের চলাচলে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। সম্প্রতি রাস্তাটি ডাবল ইটের সোলিং করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তাটির ঠিকাদার ১নং ইটের পরিবর্তে নি¤œমানের (৩নং) ইট দিয়ে সোলিং করে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী বাধা দিলেও কোন বাধা মানেনি ঠিকাদার। এছাড়া রাস্তাটি রুলার দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার সেটি করছেন না। উপায়ন্তর হয়ে এলাকাবাসী কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে পরিদর্শন করে নি¤œমানের ইট ব্যবহারের সত্যতা পেয়ে ওই ইট পরিবর্তন করে ১নং ইট ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ঠিকাদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সে নির্দেশ উপেক্ষা করে নি¤œমানের ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করে যাচ্ছেন। রাস্তা থেকে নি¤œমানের ইট পরিবর্তন করা না হলে রাস্তাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে এবং অত্র এলাকার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। অন্যদিকে সরকারের অর্থ তছরুপ হবে।
লাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রামবাসী অভিযোগ করার কারনে ইউএনও গত ২১-০৬-২০২২ তারিখ সকালে রাস্তাটি পরিদর্শনে এসে ঘটনার সত্যতা প্রমান পেয়ে এলাকাবাসীর সামনে ঠিকাদারকে বলেছিলেন যে সমস্ত খারাপ ইট উঠিয়ে তার পর কাজ করতে কিন্তু ঠিকাদার কোন কথা না মেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যে কারনে এলাকাবাসী আজকে আবারো অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে ঠিকাদার জিয়াউর রহমান বলেন, আমি কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাটা থেকে ১নং ইট ক্রয় করে রাস্তায় কাজে লাগিয়েছি। আমার কাছে মেমোও রয়েছে। কিছু মানুষ শত্রুতা মূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন।
এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই ইট পরিবর্তন করতে বলেছি। ইতোমধ্যে ওই ইট পরিবর্তন করে ১নং ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।