নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় এক সহকারী ভুমি কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শিক্ষক দম্পতি। একের পর এক মিথ্যাচারসহ বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে অকথ্য ভাষায়গালি গালাজ করিয়ে অতীষ্ট করে তুলেছে পরিবারটিকে।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী একটি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। বিগত কয়েক বছর পূর্বে কাটিয়া মৌজায় এস এ খারিজ মতে ৯৭৩/১/৮ নং খতিয়ানে রিন্টু মিত্রের কাছ থেকে একই দাগে আমার দাদা মার্জিত বিশ্বাস, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গগন চন্দ্র মন্ডল এবং শম্ভু নাথ জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণ বসবাস করে আসছি।
জমি ক্রয়ের সময়ে দলিলে আমার সম্পত্তির চার পাশে রাস্তার বিষয়টি স্পস্টভাবে উল্লেখ থাকলেও সম্প্রতি গগন মন্ডল যাতায়াতের রাস্তাটি দখল করে সেখানে গেট লাগিয়ে হাঁস মুরগি পালন শুরু করে। এছাড়া রাস্তার মাঝখানে মাটি খুড়ে তিনি সেপটি ট্যাংক নির্মাণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেওয়ায় গগন চন্দ্র মন্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে নানান চক্রান্ত শুরু করে।
তার অবৈধ উপার্জনের অর্থ দিয়ে লোকজন ভাড়া করে আমাদের হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে অপমানিত করে যাচ্ছে। এমনকি পত্র-পত্রিকায় জঘন্য মিথ্যাচার করে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে ওই গগন চন্দ্র মন্ডল।
তিনি আরো বলেন, গগন চন্দ্র মন্ডলের পৈত্রিকভাবে কোন অর্থ সম্পদ না থাকলেও ভূমি অফিসের চাকুরি যেন সোনার হরিন। কত টাকা বেতন তা জানি না। তবে কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন তিনি। তার অবৈধ অর্থের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। তিনি ওই ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সকল অপকর্ম ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ভূমিসহকারী কর্মকর্তা গগন চন্দ্র মন্ডল বলেন, আপনারা সরেজমিনে বিষয়টি দেখে যান। তা না হলে আমি আমার মত বলবো, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস তার মত বলবে। সুতরাং ঘটনাস্থলে আসলে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন।