নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের শিবপুরের সন্তান সহকারী জজ আজহারুল ইসলাম সোহাগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে কুচক্রী মহল কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনকারীবিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জগন্নাথপুর গ্রামের মো: রুহুল আমিনের পুত্র মনিরুল ইসলাম আলিম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের শহীদুল ইসলামের পুত্র আজহারুল ইসলাম সোহাগ আনুমানিক ২০১৯ সালে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
নিয়োগ পেয়ে সুনামের সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসার পাশাপাশি ছুটিতে বাড়ি এসে মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন।
কিন্তু অত্র এলাকার স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তার এসব মানবিক কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির চক্রান্ত করতে থাকে। এছাড়া গত ইউপি নির্বাচনে চাচা জুলফিকার মেম্বর পদে ভোটে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে কাজী আবু সুলতান তুষার অংশগ্রহণ করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হলে তারা জজের পরিবারকে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে ওঠে একই এলাকার ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ফকির আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম, সায়েম, হাবিব, কাজী মিজানুর রহমান, মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল, মোকলেছুর রহমান, জামায়াত ইসলামীর সংগঠক মো: আসমত আলী ও ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি মো: শরিফুল ইসলাম, মো: আব্দুর রহমান এবং আব্দুল জাহাঙ্গীর। এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ জগন্নাথপুর ঈদ গাহে হওয়ার কথা থাকলেও ঈদগাহটিতে সংস্কার কাজ চলার কারনে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে কয়েকজন মুসুল্লী নামাজের তাকবির সঠিকভাবে শুনতে না পাওয়ায় তাদের নামাজে ব্যঘাত ঘটলে তারা হট্টগোল শুরু করে। সেখানে উপস্থিত থাকা জজ সাহেবসহ মুসুল্লীরা দ্বিতীয় জামায়াত করার তাগিদ দেন এবং বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে সদর থানা পুলিশের এস আই তন্ময় ঘটনাস্থলে যান। তিনি ঘটনার বিস্তারিত উপস্থিত মুসুল্লীসহ সকলের কাছে শোনেন এবং অশান্তি সৃষ্টি না করতে অনুরোধ জানান। এর পর থেকে এলাকায় শান্তি বিরাজ করছিল। জামায়াত নেতার পুত্র নজরুল ইসলাসহ তার সহযোগীরা চক্রান্ত অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে জজ সাহেব এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধন করে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী অধিকাংশ শিবপুরের লোক নন। এছাড়া মানবববন্ধনে বক্তব্য দিয়ে অজয় সরকার দাবি করেছেন তাকে এবং মহাদেবকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন জজ সাহেব এবং তার পরিবার। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অজয় নিজেই একজন ভূমিদস্যু। সে নিজের বিধবা কাকীর সম্পত্তি দখল চেস্টাসহ অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষদের উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম জজ সাহেব এবং তার পরিবারকে জামায়াত পরিবার দাবি করেছে। অথচ জজ সাহেবের পিতা শহীদুল ইসলাম ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্যভুক্ত হয়ে অদ্যবধী আওয়ামীলীগের দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তার পুরোপরিবার আওয়ামীলীগের সদস্য। তাকে কেন আওয়ামীলীগের প্রত্যয়ন দেওয়া হয়েছে এ নিয়েই মিথ্যাচার করেছেন নজরুল গং। ২০১৩ সালে নজরুল ইসলাম গং গাছকাটা, নাশকতা মূলক কর্মকান্ড চালিয়েছিল। কয়েক দিন পূর্বেই ইউনিয়নের সরকারি গাছ কেটে আত্মসাত করে কাজী মিজান। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলার নং- জিআর- ১৯৩/২২, সদর থানার মামলা নং- ২৮/২২। তিনি কুচক্রী মহল এবং তাদের ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।