নিজস্ব প্রতিনিধি:
সামান্য বর্ষা হলেই মাঠে পানি জমে। একটু ভারী বর্ষা হলে তো কথাই নেই একেবারে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি উঠে যায়। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যবহত হচ্ছে সাতক্ষীরার ভোমরা পোর্ট সংলগ্ন ৬৫ নং ভোমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাশিদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। জনপ্রতিনিধিসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার ধর্না দিয়েও কোন কাজ হয়নি। এমন দাবি করেছেন বিদ্যালয় দুটির প্রধান শিক্ষকসহ অনেকেই। পানি নিস্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চলছে শিক্ষাদান।
জানা গেছে, ভোমরা পোর্ট সংলগ্ন ৬৫ নং ভোমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। কিন্তু সামান্য বর্ষা হলেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। বিদ্যালয়ে এসে অনেক শিক্ষার্থীর জামাকাপড় নস্ট হয়ে যায়। অনেকে চুলকানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যে কারণে অভিভাবকরা তাদের বিদ্যালয়ের পাঠাতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন। এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে রাশিদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। যে কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এবিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আমির হামজা বলেন, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা বর্ষা হলেই চরম দূর্ভোগে পড়ে। কাদাপানিতে পড়ে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস জাহান বলেন, বর্ষা মৌসুমের বিদ্যালয়ের অবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়ে। পানি পড়ে প্রায় প্রতিদিনই শিশুরা পোষাক নষ্ট করে ফেলে। শিক্ষাদানের পরিবেশ চরভাবে বিঘিœত হয়।
রাশিদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, সামান্য বর্ষা হলেই মাঠে পানি জমে। একটু ভারী বর্ষা হলে শ্রেণি কক্ষের মধ্যে পানি চলে আসায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বছরের পর বছর এভাবেই কষ্ট ভোগ করে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
এবিষয়ে ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী ইসরাইল হোসেন বলেন, বন্দরে পার্কিং ইয়ার্ড মালিক সকলেই ধনি লোক। তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করনে না। তারা ড্রেন করেছে কিন্তু এত ছোট যে পানি নিস্কাশন হয় না। মেগাপ্রকল্প করে গাঙনির খাল পর্যন্ত বড় ড্রেন করতে না পারলে এটির সমাধান হবে না। আমরা এটা নিয়ে ইতোমধ্যে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বসেছি। হয়ত এটার সমাধান হবে।